ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা

rynypos062c_72585

 

 

আমরা অনেকে আলসেমি করে দেরি করে ঘুম থেকে উঠি। এতে আমাদের অনেক সময় সকালের নাস্তা খাওয়া পড়ে দুপুরে। এটা স্বাস্থের জন্য ক্ষতি। কিন্তু ভোরে ঘুম থেকে উঠলে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। বাতাসে কম ধূলাবালি থাকে। শুধু স্বাস্থের জন্য নয়, অন্যান্য প্রয়োজনেও সকালে ঘুম থেকে ওঠার বিশেষ উপকার রয়েছে। তাই খুব শিগগিরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা করে ফেলুন। দেখে নিন এর পেছনে ৭টি বড় উপকারিতা-

নাস্তা: দিনের কাজ শুরুর জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠে একটা জম্পেশ নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্য একটি। কারণ সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা পুষ্টি ও ভিটামিন দেয় আমাদের। তাই যেকোনো কাজে ভালো পারফরমেন্সের সঙ্গে একঘেয়েমি দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অধিক শক্তিসহ দেয় কাজে মনোযোগ।তাই ভালো একটা নাস্তার জন্য সকালে উঠুন।

ব্যায়াম: সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেই সঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন।

আরামে কাজ সারা: সময়মতো উঠে পড়লে আরামে কাজগুলো শেষ করতে পারবেন। অফিসে যাওয়ার সময়ও থাকবে যথেষ্ট। ফলে সেখানে সময়মতো পৌঁছতেও পেরেশানি হতে হবে না আপনাকে।

আরো উৎপাদনশীল: সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল। তাই দুপুরের লাঞ্চের সময় দেখবেন আপনি যথেষ্ট কাজ সেরে ফেলেছেন এবং তা দেখেই আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। তাই ঘুম থেকে সকালে উঠুন।

পড়াশুনা: ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আপনি ফ্রেস মনে পড়াশুনায় সময় দিতে পারবেন। এতে কোনো কিছু অন্য সময়ের থেকে তাড়াতাড়ি মুখস্ত হয়। তাছাড়া, ছোট ভাই-বোনেরা আপনার পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটাবে না।

বিশুদ্ধ বায়ু: সারাদিন মানুষের চলাফেরা ও কলকারখানা খুলা থাকে বলে দিনে বাতাসে প্রচুর রোগ-জীবানু থাকে। কিন্তু ভোরের বায়ু থাকে বিশুদ্ধ। ফলে আপনি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় বিশুদ্ধ বায়ু শরীরের ভেতরে নিতে পারছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!