ভোররাতের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লাশ হল সীতাকুণ্ডের তিন ডাকাত

৪ মাস আগেও একই জায়গায় লাশ পড়েছিল দুটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের দাবি, নিহত তিনজনই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।

র‌্যাব জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে র‍্যাবের টহল দল ও আন্তঃজেলা ডাকাতদলের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

এর আগে গত ৩ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাসে কাজীপাড়া এলাকায় ছোট কুমিরা সেতুর ওপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছিলেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৩৭ থেকে ৩৮ বছর। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৩১টি গুলি ও বেশ কিছু ছুরি ও রামদা জব্দ করা হয়। র‌্যাবের দাবি, নিহত দুজন ঈদে ঘরমুখী মানুষকে বহনকারী গাড়িতে ডাকাতি করছিলেন।

তবে মঙ্গলবারের ঘটনার আগে সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর। উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‍্যাব ৭ এর টহলদলের সাথে গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাতদলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব ৭।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!