ভোট দিতে এসে অবরুদ্ধ সুফিয়ান, পুলিশ পাহারায় কেন্দ্র ত্যাগ

সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি এবং নিয়মিত বিরতিতে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির মধ্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন শুরু হয়। সকাল ১০টায় বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। ভোট দেওয়া শেষে তিনি গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখেন।

তখনই কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের, সাথে শতাধিক অনুসারী। আগ থেকেই অনুসারীদের সাথে নিয়ে মাঠে ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইয়াসিন আরাফাত কচি এবং যুবলীগের এসরারের অনুসারীরা।

কেন্দ্রের অদূরে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, শ্রমিক নেতা সফর আলীসহ একাধিক নেতা ও তাদের অনুসারীরা।

ভোট কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার মুখে কয়েকশ বহিরাগত অবস্থান নেওয়ায় আবু সুফিয়ান কেন্দ্র থেকে বের হতে না পেরে দাবি করেন, ‘আমি তো অবরুদ্ধ।’ পরে সোয়া ১২টায় পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার দেবদূত মজুমদার এসে সুফিয়ানকে নিরাপদে তার গাড়িতে তুলে দেন।

এ সময় নৌকার সমর্থকরা তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টাও করেন। পুলিশের বাধার মুখে তাদের স্লোগানেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়েছে।

ভোট দিতে এসে অবরুদ্ধ সুফিয়ান, পুলিশ পাহারায় কেন্দ্র ত্যাগ 1

কেন্দ্র থেকে ঠিক কতটুকু দূরত্বে ১৪৪ ধারা জারি জানতে চাইলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোন দিকে যাবো? এই কেন্দ্রে গেলে ওই কেন্দ্রে সমস্যা ওই কেন্দ্রে গেলে আরেক কেন্দ্রে সমস্যা। তবে বিএনপি প্রার্থীকে নিরাপদে কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে পেরে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তবে সুফিয়ানকে নিয়ে হট্টগোল চলাকালেই তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য মহিলা ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। মহিলাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন নৌকার এক সমর্থক। আরেকজন এসে যখন জানালো ওরা সুফিয়ানের পরিবারের সদস্য তখন এসরারের অনুসারীরা মহিলা বুথের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

মা-বোনকে নিয়ে ভোট দিতে আসা সুফিয়ানের ছেলে ব্যারিস্টার তানজিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ভয়ভীতির পরিস্থিতিতেও আমরা ভোট দিয়েছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!