কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও আমেরিকান কর্ণার চট্টগ্রামের আয়োজনে সোমবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর জামালখানের আমেরিকান কর্ণার মিলনায়তনে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর আওতায় অভিযোগ দাখিল ও নিস্পত্তি নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় এতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, আমেরিকান র্কনারের সহকারী সমন্বয়কারী রুমা দাশ, ক্যাব দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগর যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব সদরঘাটের সদস্য শাহীন চৌধুরী, পাঁচলাইশের সেলিম জাহাঙ্গীর, চান্দগাঁও এর সেলিম সাজ্জাদ, উন্নয়ন কর্মী নার্গিস চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন,‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ গণভোগান্তি নিরসনে অনেকগুলি উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো কাঠামো থাকলেও ভোক্তারা নিষ্ক্রিয় থাকায় এসব সরকারি উদ্যোগের সুফল জনগণ পাচ্ছে না।’
সভায় নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র/ছাত্রীসহ যুব সংগঠনের ৬০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ দেশের এমন একটি যুগান্তকারী আইন যেখানে একজন ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরাসরি কোর্ট ফিসও অ্যাডভোকেট নিযুক্তি ছাড়াই মোবাইল, ফেসবুক, ইন্টারনেট, চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পাবেন। প্রতি সপ্তাহে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে গণশুনানি ও মাঠ পর্যায়ে বাজার তদারকির মাধ্যমে অভিযোগগুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের মাঝে এ বিষয়ে পরিস্কার তথ্য না থাকায় জনগণ ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ থেকে তেমন সুফল পাচ্ছে না। তাই সাধারণ ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষনে এই আইন ও এর প্রয়োগ সম্পর্কে সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।খবর বিজ্ঞপ্তির