ভূমি বিরোধে প্রতিবেশির মামলায় ধরা ভুয়া আইনজীবী

নিজেকে তিনি আইনজীবী পরিচয় দিতেন। লালখান বাজারে ভূমি বিরোধের জেরে প্রতিবেশির সাথে পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়ে শেষে এসে ফেঁসে গেলেন আদালতে।
রাতের আঁধারে প্রতিবেশি ফয়েজ আহমদের বাড়ি থেকে ৩-৪ লাখ টাকার গাছ কাটার অভিযোগে ফয়েজ আহমদ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় ভুয়া আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ভুয়া আইনজীবী সালাউদ্দিনও খুলশী থানায় প্রতিবেশি ফয়েজ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিন সালাউদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজী সাহাবউদ্দীন (তথ্য এসি প্রসিকিউশন) বলেন, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২ পক্ষের মামলা হয়। একটি ছিলো তার বিরুদ্ধে আরেকটি তার পক্ষে।সিআর মামলায় জামিন নেয়ার সময় তিনি পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী। তিনি এখানের কোনো আইনজীবী নন। নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে জামিন নিতে চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।

জানা যায়— খুলশীর লালখান বাজার এলাকার সালাউদ্দিন নিজেকে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মাদকের ব্যবসা করতেন। তিনি নিজেও মাদক সেবন করতেন। এ কারণে এলাকার লোকজন এই ভুয়া আইনজীবীকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল খুলশী থানায় ওসির পূর্বের ওসি থাকা অবস্থায়।কিন্তু দুইবারই সেই ভুয়া আইনজীবী জামিন পান। সর্বশেষ কিছুদিন পূর্বে তার প্রতিবেশী ফয়েজ আহমদের সাথে গাছ কাটা নিয়ে ঝামেলা হলে সে তার প্রতিবেশী ফয়েজ আহমদসহ তার স্ত্রী এবং পুত্রের নামে মামলা করেন। এরপর প্রতিবেশী ফয়েজ কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সালাউদ্দিনের পরিচয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।পরবর্তীতে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে ভুয়া আইনজীবী সালাউদ্দিনকে হাজতে দেন।

বাদি ফয়েজ আহমদ চট্রগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন— কিছুদিন আগে আমার ৩/৪ লাখ টাকার গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন খুলশী থানায়। সেখানে গিয়ে আবার নিজেকে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন। পুলিশেরা তাই বিশ্বাস করেন।আমি থানায় গেলেও তারা আমার কথা বিশ্বাস করেনি। এরপর আমি আদালতেই মামলা করি। তারপর আমি সালাউদ্দিন এর ভিজিটিং কার্ড, তার বাড়ির সামনের সাইনবোর্ড, আইডি কার্ড এইগুলোর ছবি তুলে কপি করে আদালতের আইনজীবীকে দেখালে তারা তার সত্যতা প্রমাণ করেন যে তিনি আসলেই একজন ভুয়া আইনজীবী। তিনি জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামাঞ্জুর করে তাকে হাজতে পাঠান।

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!