ভূমি দখলে পেকুয়ায় মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হযরত ওমর (রা.) নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শিলখালী ইউনিয়নের পূর্ব ভারুয়াখালী সবুজ পাড়া এলাকায় বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, ‘শুক্রবার সকালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা উচ্ছেদ করে জমি দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্র নিয়ে ভাংচুর চালায়। একইসাথে মাদ্রাসাটি গুটিয়ে নিতে হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ জানাতে এ বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

হযরত ওমর (রা.) নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলানা আব্দুল করিম বলেন, ‘১৯৮৫ সালে স্থাপিত ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও পাঞ্জাখানার জমিতে ২০১৬ এ নুরানি মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু হয়। এ মাদ্রাসায় ইউনিয়নের কাছারি মোড়া, লম্বা মোড়া, ভারুয়াখালী, সবুজ পাড়া, মাঝের ঘোনা ও ডলুবুনিয়া এলাকায় শতাধিক ছেলেমেয়ে শিক্ষা অর্জন করছে।’

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ বলেন, ‘সম্প্রতি ধর্মীয় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু নুরুল হোসেনের। মাদ্রাসার জমিটি দখলে নিতে তিনি মরিয়া হয়ে পড়েছেন। এর জের ধরে গত শুক্রবার সকালে তার নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী মাইক্রোযোগে মাদ্রাসায় এসে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এমনকী শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতে মাদ্রাসার আঙ্গিনায় কাঁচের টুকরো ছিটিয়ে গেছে তারা। তার আগে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আমির হোসেন, শিক্ষক মৌলানা আব্দুল করিম ও মৌলানা রফিকুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ সময় তাদেরকে মাদ্রাসা এলাকায় যেতে নিষেধ করে ভূমি দস্যুরা।’

এ ব্যাপারে শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে আমি মাদ্রাসাটিতে গিয়েছিলাম। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।’

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈকা সাহাদাত বলেন, ‘জমি জবরদখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!