ভুয়া দলিলে সম্পত্তি আত্মসাৎ, ব্যবসায়ী-আইনজীবীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ভুয়া দলিল তৈরি করে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার ওয়াকফ এস্টেটের ১৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এতে আরবান আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির শাহীন, দলিল লেখক অ্যাডভোকেট তৃষ্ণা ভট্টাচার্য্যসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

৭ আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের সদর সাব-রেজিস্ট্রার দপ্তরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. লুৎফর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭১৮ নম্বর সদস্য দলিল লেখক অ্যাডভোকেট তৃষ্ণা ভট্টাচার্য্য, দলিল গ্রহীতা ডবলমুরিং থানার মুহুরি পাড়ার ছালাম সাহেবের বাড়ির জেবল হোসেনের পুত্র মো. জাকির হোসেন, পাঁচলাইশ থানার আল মাদানি রোডের মৃত শামসুল আলমের পুত্র আতাউল করিম, পাঁচলাইশ থানার ওমর আলী মাতব্বর রোডের মেহের মঞ্জিলের মৃত লোকমান হোসেনের পুত্র মো. আলমগীর হোসেন, হালিশহর থানার ব্লক নম্বর বি হালিশহর হাউজিং এস্টেট বাসা নম্বর ১ এর মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর শামীম, পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ জিইসি মোড় আরবান আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির শাহীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ‘পরস্পর জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩০ কোটি টাকার ওয়াকফ সম্পত্তি যোগসাজশের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক প্রধান কার্যালয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলাটি রেকর্ড করেন জেলা সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মাহামুদা আক্তার।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!