ভুয়া দলিলে ভূমিহরণ: সাব-রেজিস্ট্রার আইনজীবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় হাজী গণি নামের মালিকানাধীন ওয়াকফ এস্টেট ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের জমির ভুয়া দলিল, হেবা ও ঘোষণাপত্র করার অভিযোগে সাব-রেজিস্টার ও আইনজীবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মাহামুদা আক্তার এ মামলাটি রেকর্ড করেন।

অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম নগরের সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রাক্তন সাব-রেজিস্ট্রার মো. লুৎফর রহমান। তিনি বর্তমানে নীলফামারী জেলার রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭১৮ নম্বর সদস্য এডভোকেট তৃষ্ণা ভট্রাচার্য্য (দলিল লেখক)। দলিল গ্রহীতা মো. জাকির হোসেন, তিনি নগরের ডবলমুরিং থানার মুহুরি পাড়ার ছালাম সাহেবের বাড়ির জেবল হোসেনের পুত্র। এছাড়া অপর অভিযুক্ত হলেন নগরের পাঁচলাইশ থানার আল মাদানী রোডের মৃত শামসুল আলমের পুত্র আতাউল করিম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩ আগস্ট ২০১২ সালে নগরের খুলশী থানাধীন হাজী গণি সওদাগরের এক হাজার ১৮৪ শতক ওয়াকফকৃত ১৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের জমিটি অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশ করে পৃথকভাবে ভুয়া হেবা দলিল ও ঘোষণাপত্র করে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অপরাধ বলে বিবেচিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মাহামুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে ভুয়া দলিল ও রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।’

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার হাজী গণি সওদাগরের ওয়াকফ এস্টেটের ১১৮৪ শতক জায়গা ভুয়া দলিল সৃজন, হেবা ও রেজিস্ট্রি করার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজাদ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!