ভিসার মেয়াদ, কাজের অনুমতি আছে, তবুও বিমানে তুলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের

সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরছে ওরা

চট্টগ্রামের তিন জনসহ সৌদিতে পুলিশি অভিযানের মুখে আরও দুইশ’ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম সৌদি থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে চলতি বছর ১৬ হাজার দুইশ’ বাংলাদেশি ফেরত এলো।
সৌদি থেকে ফেরা চট্টগ্রামের তিনজন হলেন বাঁশখালীর অসিয়র রহমান ও মিয়া হোসেন এবং মিরসরাইয়ের মো. আবদুল্লাহ। মো. আব্দুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমি ২০১৬ সাল থেকে সৌদি ছিলাম। আমার ভিসার মেয়াদ ছিল, আকামাও (কাজের অনুমতি) ছিল। কিন্তু সৌদি পুলিশ আমাকেও ধরে অন্যদের সাথে বিমানে তুলে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।

বাঁশখালীর অসিয়র রহমান বলেন, ধার-দেনা করে তিনমাস আগে সৌদি আরব গিয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক থাকার পরও আমাকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু আমার কপিল (মালিক) আমার পক্ষে থাকেনি। তিনি নীরব থাকায় আমাকে চলে আসতে হলো।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সৌদি পুলিশের ধরপাকড়ের মধ্যে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে দুইশ’ বাংলাদেশি কর্মী ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তাদের কেউ কেউ প্রতারণারও শিকার হয়েছেন। তাদের কান্নায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আমরা সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় আগতদের জরুরি খাবার, পানিসহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যারা ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে কিংবা ঋণ করে বিদেশে গিয়ে ফেরত এসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন, তাদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য কাউন্সেলিং করছি, যাতে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল ফিরে পান। এছাড়াও ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের সমৃক্ত করে স্বাবলম্বী করারও প্রকল্প রয়েছে। এ যাবৎ আমরা আট শতাধিক বিদেশ ফেরত প্রবাসীকে এই সুযোগ করে দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রতারণার শিকার এবং ভিসা ও আকামার মেয়াদ থাকার পরও বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের তালিকা দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে।

এফএম/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!