ভাড়ায় চালাতে নিয়ে সিএনজি বেচে দেয় চট্টগ্রামের ৩ প্রতারকের চক্র

সিএনজি অটোরিকশা চালানোর কথা বলে মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নেন তারা। এরপর সিএনজির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে দেন আরেক জনের কাছে। কাজটি করেন মাত্র তিন সদস্যের একটি চক্র।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রতারক চক্রের তিন সদস্য সিএনজিসহ আটক হয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে।

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বটতল ও টেক্সটাইল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পিবিআই।

আটক তিনজন হলেন মো. সাহাব উদ্দিন (২৫), মজিবুর রহমান (৫২) এবং ওমর ফারুক পারভেজ (৪০)। তিনজনই চট্টগ্রাম নগরীতে অটোরিকশা চালান বলে জানা গেছে।

পিবিআই জানায়, আটকরা লালখানবাজার এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভাড়ায় চালানোর জন্য একটি অটোরিকশা নেন। এরপর জাল নথিপত্র তৈরি করে সেটি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (মেট্রো) নাইমা সুলতানা বলেন, আটক তিনজনের সঙ্গে বাবুল নামে আরও একজন যুক্ত আছেন। গত রোববার বাবুল নগরীর লালখানবাজার এলাকার আবুল হাসেম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অটোরিকশা ভাড়ায় চালানোর জন্য নেন। এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন বাবুল।

কিন্তু দু’দিনেও অটোরিকশাটি ফেরত না দেওয়ায় আবুল হাসেম পিবিআই কার্যালয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। পিবিআই কর্মকর্তাদের পরামর্শে তিনি খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা তদন্তে নেমে জানতে পারি, অটোরিকশাটি সাহাবউদ্দিনের কাছে আছে। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করি এবং অটোরিকশাটি উদ্ধার করি। তারা চারজন মিলে অটোরিকশাটি বিক্রির পরিকল্পনা করে। জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্তও হয়। এজন্য তারা অটোরিকশার জাল লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নথিপত্র তৈরি করে। এ তথ্য পেয়ে আমরা বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তার করি। তবে বাবুল এখনও পলাতক আছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!