ভাসানচর পরিদর্শনে গেলেন ৪০ জনের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে গেছেন ৪০ জনের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দু’টি বাসে করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে। সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে সেখান থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জলযানে করে রওনা হয় ভাসানচরের উদ্দশ্যে।

জানা গেছে, ভাসানচরে কী ধরণের সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে বা দ্বীপটি বসবাসের জন্য কেমন, তা স্বচোখে দেখবেন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা নেতারা।

বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের প্রতিটি ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতা রয়েছেন প্রতিনিধি দলে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভাসানচর থেকে তাদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে আসার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের মাঝে ধারণা দিতে এই “গো এন্ড সি” ভিজিট। কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচর দ্বীপে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। সফরকারি রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি ওইসব রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলবেন। তাদের জীবনমান পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর ভাসানচর থেকে ফিরে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেবেন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা নেতারা। প্রতিনিধি দলে ২ জন নারী সদস্যও রয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!