ভালোবাসা দিবসে বন্ধুত্বের জয়গান

বিশ্ববিদ্যালয় পর্ব শেষ হয়েছে আগেই। এরপর শুরু কর্মব্যস্ততা। সঙ্গে যোগ হয়েছে পারিবারিক দায়–দায়িত্বও। এসবের ভিড়ে অবসর মেলা ভার। এরপরও একত্রিত হওয়ার তাগিদ অনেকদিনের। শেষমেশ সেটি পূর্ণতা পেল বসন্তের শুরুতে— ভালোবাসা দিবসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাণের টানে ছুটে এসে প্রাণে প্রাণ মিললো সবার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ততাকে অবসর দিয়ে জড়ো হয়েছিলেন চট্টগ্রাম নগরের ফয়’স লেকের কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনভর বন্ধুত্বের জয়গানে মেতে উঠেছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। অনেকে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

দিনভর বন্ধুত্বের জয়গানে মেতে উঠেছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
দিনভর বন্ধুত্বের জয়গানে মেতে উঠেছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘ক্লাব–৪১ সিইউ’ আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অকালে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা। এরপর দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এর ফাঁকে ফাঁকে চলল আড্ডা আর স্মৃতিচারণ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো আবারও ভাসতে থাকে চোখের সামনে। একে পূর্ণতা দিতেই যেন শাটল ট্রেনের জনপ্রিয় গানগুলোও দলবেঁধে পরিবেশন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে ‘ক্লাব–৪১ সিইউ’-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন নাজমুল আলম ভূঁইয়া, রিদুয়ানুল মোস্তফা, কানিজ ফাতেমা, আহসানুল করিম, ইয়াকুব মাহী ও আলী হায়দার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল কনসার্ট, ফয়’স লেকে নৌ ভ্রমণ, সাবেক শিক্ষার্থীদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা ও কাপল গেম। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

ব্যাচের মুখপাত্ররা ক্লাবের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন ও তা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!