ভালোবাসায় নতুন জীবন দেবে সিএমপির ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’

দুস্থ ও অভিভাবকহীন রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) মানবিক পুলিশ ইউনিট গঠন করেছে।

২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিএমপি’র কল্যাণ সভার সিদ্ধান্ত মতে রোববার (১ ডিসেম্বর) “মানবিক পুলিশ ইউনিট” গঠন করা হয়। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবিক কাজ চালিয়ে যাওয়া কনস্টেবল শওকতদের প্রচেষ্টার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললো।

সিএমপির মুখপাত্র এডিসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (সদর) সভাপতি করে সদস্য করা হয়েছে এডিসি (সদর), এডিসি (সিটিএসবি, উত্তর), বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক/প্রতিনিধি চিকিৎসক, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স), কোতোয়ালী, চকবাজার ও পাঁচলাইশ জোনের এসি, চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এবং এসএএফ শাখার কনস্টেবল শওকত হোসেন।

নবগঠিত মানবিক পুলিশ ইউনিটের কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে, দুস্থ ও অভিভাবকহীন রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাকরণ, এসব রোগীদের বিনামূল্যে খাদ্য ও বস্ত্র সরবরাহ করণ, রোগীদের অপারেশন করানো, অপারেশন পরবর্তী পরিচর্যা নিশ্চিতকরণ, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের পরিচর্যা নিশ্চিতকরণ, অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ এবং প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা প্রদান।

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে শরীরে পচন ধরে পোকায় আক্রান্ত (মেগট) রাস্তার পাশে পড়ে থাকা স্বজনহীনদের নিজেদের উদ্যোগে নিভৃতে সেবা দিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামের দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত সাত কনস্টেবল মো. শওকত হোসেন, মো. হান্নান, মো. মাঈনুদ্দীন, মো. মাহবুবুল আলম, মো, ইয়াছিন আরাফাত, মো. রবিউল হোসেন, মো. এমরান হোসেন।

মূলত কনস্টেবল শওকতের উদ্যোগে তারা এ সেবা দিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অসহায় লোকদের।

নিজেদের বেতনের টাকায় সেবা দিয়ে আসা এ সাত পুলিশ কনস্টেবল গত বৃহস্পতিবার নগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় তাদের নিজেদের কাজের কথা তুলে ধরেন এবং সমাজের অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ গঠনের প্রস্তাব দেয়।

আর তাতে সায় দিয়ে নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ টাকার অনুদান দিয়ে ইউনিট গঠনের ঘোষণা দেন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।

এডি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!