ভারতে দাদুর বাড়িতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু রুপালি চাকমার

ভারতের মিজোরাম প্রদেশের বড়পনছড়ি থানার আওতাধীন হুরোলোবাছড়া গ্রামে দাদুর বাড়িতে বিজু উৎসবে বেড়াতে গিয়ে নিহত হলেন রুপালি চাকমা(২০)। দেশে স্বজনরা লাশ ফেরত চাইলেও ফেরত দেয়নি ভারতের সেই হুরোলোবাছড়া গ্রামের মানুষ। সেখানেই রুপালি চাকমা কে দাহ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বরকল উপজেলাধীন ৩নম্বর আইমাছড়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পেরাছড়া গ্রামের বাসিন্দা গুরি মরত্তো চাকমার (তিবিরেবো) কন্যা রুপালি চাকমা।

নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বিজু উৎসবের দুদিন আগে রুপালি চাকমা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বড়পনছড়ি থানার আওতাধীন হুরোলোবাছড়া গ্রামে দাদু মদন মুনি চাকমার বাড়িতে বিজু উৎসব পালনের জন্য বেড়াতে যান। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে হুরোলোবাছড়া বৌদ্ধ বিহারের পাশের ঝোঁপে গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত রুপালি চাকমাকে পাওয়া যায়।

নিহত রুপালি চাকমার দাদু মদন মুনি চাকমা জানান, ফুল বিজুর একদিন আগে রাতের খাওয়া দাওয়ার পর যার যার রুমে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি নাতনি রুপালি চাকমা বাড়িতে নেই। মনে হয়েছিল সেই সবার আগে ঘুম থেকে উঠে পানি নিতে ছড়ায় গেছে। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরেও যখন রুপালি চাকমার দেখা নেই, তখন তাকে খুঁজতে শুরু করি। খুঁজতে গিয়ে বৌদ্ধ বিহারের পাশের জঙ্গলে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রুপালি চাকমার লাশ পাওয়া যায়।
জানা যায়, লাশ পাওয়ার পর পুরো এলাকায় এক হ্নদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রুপালি চাকমার মৃত্যুতে সীমান্তের এপার আর ওপারের মানুষদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী বিজু উৎসবে শোকের প্রভাব পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নিহতের বাবা গুরি মরত্তো চাকমা ও তার স্ত্রী এখন মেয়ের শোকাগ্রস্ত আছেন। তারা জানান, ‘রুপালি চাকমার ব্যক্তিগত কোন শত্রু নেই। কোন ব্যক্তিগত কিংবা পারবারিক সমস্যাও নেই। তাহলে কোন দুঃখে সেই আত্মহত্যা করবে? তাকে কেউ জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন মৃত রুপালি চাকমার বাবা গুরি মরত্তো চাকমা।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে বরকল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মফজল আহম্মদ খান বলেন, ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন। এ ব্যাপারে থানায় এসে কেউ জানায়নি এখনো কোন মামলা রুজু হয়নি।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!