ভারতে চিকিৎসা—দালালের খপ্পরে পড়তে হবে না, সহায়তা দিবে ভারত শাখা ছাত্রলীগ

সিএনজি চালক মোহাম্মদ চান আলী, রোড এক্সিডেন্টে ছেলের মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে কোমড়ের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বাংলাদেশী ডাক্তার।

একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে জমি বিক্রি করে পাড়ি জমান ভারতে। কিন্তু ভারতের গিয়ে পড়েন দালালের খপ্পরে, শেষ পর্যন্ত চান আলীর সন্তানের সমস্ত টাকা পয়সা হাতিয়ে হাসপাতালের সামনে রেখে সটকে পড়ে দালাল। গরীব চান আলীর করার কিছুই থাকে না, বাধ্য হয়ে অসুস্থ ছেলেকে বিনাচিকিৎসায় নিয়ে আসেন দেশে, তার মাস দুয়েকের মধ্যেই মারা যান চান আলীর সন্তান।

এ ঘটনা শুধু একজন চান আলীর না, ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়া শত শত চান আলীর ঘটনা এটি, ২০১৫-১৬ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায় ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে প্রতি ৩ জনের একজন বাংলাদেশী। আর এত বড় অংশের অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভারত শাখার নেতা কর্মীরা।

ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যেন নিজ দেশের আর কোন জনগণ দালালের খপ্পরে না পড়ে, রক্তের জন্য যেন আর এদিক ওদিক দৌঁড়াতে না হয় সেজন্য ভারতে লেখাপড়ারত বাংলাদেশর ছাত্রদের নিয়ে এমনই ব্যতিক্রমি একটা সেল গঠন করলো ভারত শাখা ছাত্রলীগ।

এই সেলের প্রধান সমন্বয়ক, চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকত দেবনাথ জানান, চিকিৎসা নিতে অসংখ্য বাংলাদেশী ভারতে আসেন। অনেক সময় বাংলাদেশীদের অনেক রকমের অসুবিধা হয়ে থাকে বিদেশের মাটিতে। নতুন জায়গায় নিজ দেশের মানুষের একটু সহায়তাপূর্ণ মনোভাব প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সহায়তা করে অনেক। অনেকেই দালালের দ্বারা প্রতারিত হয়, এই সমস্যা সমাধানে সঠিক তথ্য এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করবে ছাত্রলীগ কর্মী, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।

সঠিক ও পরিপূর্ণ তথ্য সহায়তা প্রদানে কাজ করার পাশাপাশি রক্ত দান, রক্ত যোগার করে দেওয়ার কাজও করবে ভারত শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। চেন্নাই, কলকাতা, ব্যাংগালুরো, দিল্লিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের কর্মীরা সরাসরি সহায়তা করে থাকবে। প্রদেশ ভিত্তিক নাম, ফোন নাম্বার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ছবিতে। whatsapp এ এদেরকে পাওয়া যাবে সব সময়।

ভারতে করোনার লকডাউনের পর এ সেবা চালু হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। আলী হোসেন আরমান ও সৈকত দেবনাথকে সমন্বয়ক করে ও অনিরুদ্ধ দাশ, ইমন দেবনাথ, সৌরভ ঘোষ, জাহারাবী মাসুদ, নূর মোহাম্মদ আবরার, আবীদ হায়দার হামীম, আমিনুল ইসলাম রিয়াজকে সদস্য করে এই সহায়তা সেল গঠন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভারত শাখা। পোস্টারে দেওয়া নাম্বারে whatsapp এ সার্বক্ষণিক তাদের সাথে যোগাযোগ করে যে কোন ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন ভারত শাখার নেতা কর্মীরা।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!