ভারতে আবারও তাইজুল ঝলক

ভারতের মিনি রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তাইজুল ইসলাম। আবার কিছুক্ষণ আগেই খবর পেয়েছেন আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলাদেশ দলে আছেন তিনি। তাই বলাই যায় আজকের দিনটা নিজের করে নিলেন এই বোলার।

মিনি রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই আছে বিসিবি একাদশ। প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে পাতিল ক্রিকেট একাডেমিকে ৩০০ রানে আটকে রেখেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে গড়া এই দল।

ম্যাচে টস হেরে প্রথমে বোলিং করতে নামে বিসিবি একাদশ এবং শুরুটা ভালোই করে তারা। দলীয় ২ রানের ভিতরেই দলের হয়ে প্রথম আঘাতটা হানেন টাইগার পেসার শহিদুল ইসলাম। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মানান বোহরাকে বোকা বানিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। বেশ আঁটসাঁট বোলিং করার কারণে প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই আরও একটি উইকেট পেয়ে যায় বিসিবি একাদশ। দলীয় ৪০ রানে আরেক ওপেনার হার্দিক তামোরেকে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

দ্বিতীয় সেশন শুরু হওয়ার ৮ ওভারের মধ্যেই আবারও আঘাত হানেন তাইজুল। দলীয় ৯৮ রানে নওশদ শেখকে ফিরিয়ে পাতিল ক্রিকেট একাডেমির তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান এই স্পিনার। তবে উইকেট তোলার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি বিসিবি একাদশ। চতুর্থ উইকেটে পাতিল ক্রিকেট একাডেমির হয়ে বড় এক জুটি গড়েন দুই ব্যাটসম্যান অশয় সারদেশাই এবং শুবনাম রঞ্জনে। তাই দ্বিতীয় সেশনের বাকি ওভার গুলো উইকেটে অটল থেকেই কাটিয়ে দেয়া তারা।

তবে দিনের শেষ সেশন শুরু হওয়ার ছয় ওভারের মধ্যেই দলকে আবারও ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল। দলীয় ১৮৪ রানে ফিফটি করা শুবনামকে ফিরিয়ে ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন এই স্পিনার। এরপর থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকে পাতিল ক্রিকেট একাডেমি। সঙ্গে উইকেটও হারাতে থাকে তারা। দিনের ১৫ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ২২২ রানে আরও দুই উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ঝড়ো এক জুটি গড়ে দলের মান বাঁচান দুই ব্যাটসম্যান অশয় এবং আমান খান। ১০ ওভার না পেরোতেই ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। যার মূল কৃতিত্ব আমান খানের। ৩ চার ও ৪ ছয়ে মাত্র ২৯ বলে ৪৩ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন তিনি। দিনের শেষ উইকেটটাও নিজের ঝুলিতে রাখেন তাসকিন। ২৯২ রানে ইকবাল আবদুল্লাহকে ফিরিয়ে দলের অষ্টম উইকেটটি তুলে নেন এই পেসার।

এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন পাতিল ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটসম্যান অশয় সারদেশাই। তার অপরাজিত ১১২ রানের কারণে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানের সংগ্রহ করে দলটি। বিসিবি একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন তাইজুল। তাসকিন ২ উইকেট এবং ১ টি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম ও নাইম হাসান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!