ভারতকে চালকের আসনে রেখেছেন কোহলি-রাহানে

তৃতীয় দিন শেষে ভারত এগিয়ে ২৬০ রানে, হাতে আছে ৭ উইকেট

৮১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে ভালোভাবেই ভারতকে চেপে ধরেছিল ক্যারিবীয় বোলাররা। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচকে নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসছেন বিরাট কোহলি এবং আজিঙ্কা রাহানে। অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়কের ব্যাটে ভর করে এখন জয়ের স্বপ্নই দেখতে শুরু করেছে ভারত।

প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২২ রানেই অলআউট করে দিয়েছে ভারতীয় বোলাররা। ইশান্ত শর্মার তোপের মুখে লড়াই’ই করতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা।

৭৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভারত। কিন্তু রস্টোন চেজ আর কেমার রোচের তোপের মুখে ৮১ রানেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ৩৮ রান করেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ১৬ রানে মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং ২৫ রানে আউট হন চেতেশ্বর পুজারা।

টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন বিরাট কোহালি এবং আজিঙ্কা রাহানে। তৃতীয় দিন শেষে ৫১ রানে কোহলি এবং ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে।

প্রথম ইনিংসে বাউন্সার সামলাতে না পেরে ৯ রান করে ফিরে গিয়েছিলেন কোহালি। শনিবার দেখা গেল তিনি বাউন্সার আর খেলছেনই না। ফলে, কোহলির উইকেট পাওয়া হয়নি আর ক্যারিবীয় বোলারদের।

২০০৪ সালে ঠিক এ কাজটাই করেছিলেন কোহলির অগ্রজ শচিন। সেবার সিডনি টেস্টে একটিও কাভার ড্রাইভ না মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি। এর কারণ ছিল, আগের বেশ কয়েকটি ম্যাচে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন তিনি।

শনিবার বিরাট কোহলিও খুব সতর্কতার সঙ্গে বাউন্সারগুলোকে পাশ কাটিয়ে গেলেন। কোনও বল ডাক করছেন। কোনোটি সহজেই ছেড়ে দিয়েছেন। সে কারণেই তৃতীয় দিন শেষে ৭২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৮৫। মোট ২৬০ রানে এগিয়ে কোহলি। ম্যাচের বাকি এখনও দুই দিন। ভারতের হাতে ৭ উইকেট। বড় একটি লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের সামনে বেধে দিতে পারলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত বিরাট কোহলিদের।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ২২২ রানে। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রস্টোন চেজ। জ্যাসন হোল্ডার ৩৯ এবং শিমরন হেটমায়ার করেন ৩৫ রান। ইশান্ত শর্মা নেন ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ১টি নেন জসপ্রিত বুমরাহ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!