ভারতের মাটিতে ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার দিনেই ভারতকে দেশের মাটিতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। বিকেএসপিতে ৬ উইকেটের ব্যবধানে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়ে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলেন সৌম্য-শান্তরা। তবে ভারতের এই দলের সঙ্গে জয় না পেলে সেটাকে অঘটনই বলা হতো। কারণ শক্তিমত্তার দিক দিয়ে ভারতীয় ইমার্জিং দলের থেকে অনেকাংশে এগিয়ে টাইগারদের এই দলটি।
ইমার্জিং কাপের প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। আর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে সেই ধারা অব্যাহত রাখল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৫ রানেই ওপেনার নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। আর এরপরই পুরো ম্যাচটা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে সৌম্য ও শান্ত। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মিলে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৪৪ রানের বিশাল জুটি। আর এতেই টাইগারদের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। আর এই সংগ্রহটাও এই দুই টাইগার এনেছিলেন ইনিংসের ২১তম ওভারের মধ্যেই।
সৌম্য সরকার সেঞ্চুরির আভাস দিতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি; ফিরেছেন ৬৮ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেই। এরপর ইয়াসির আলীকে নিয়ে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করেই ফেলেছিলেন অধিনায়ক শান্ত। ব্যক্তিগত শতরানের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ টাইগার অধিনায়ক। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে আউট শতক হাতছাড়া করেন অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৮৮ বলে ৯৪ রান করেন শান্ত।
এরপর ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন আফিফ। ঠিক সে সময়ই ৩৯ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান ইয়াসির। এরপর জাকিরকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আফিফ। বাংলাদেশ ৪৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে তুলে নেয় বড় জয়। এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে পেসার হাসান মাহমুদ শুরুতেই তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক ভারত শরতকে। এরপর সানভির সিংকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে তুলে নেন সৌম্য। এরপর উইকেট হারানোর মিছিলে নামে ভারত, দলীয় ৮৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় তারা।
তবে পঞ্চম উইকেটে বিনায়ক গুপ্ত ও আরমান জাফর মিলে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। বিনায়ককে ৪০ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন সৌম্য। এরপর আর কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এতেই ভারতের ইনিংস থামে ২৪৬ রানে। টাইগারদের হয়ে ৬৪ রানে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন সুমন। দু’টি করে উইকেট আছে তানভীর ও সৌম্যর নামের পাশেও। অন্যদিকে মেহেদী ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট।