পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে বিলকিস আক্তার নামের ২১ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বান্দরবানের লামা খালের পূর্ব পাশে মতির বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিলকিস আক্তার উপজেলার রূপসীপাড়ার সাবেক মেম্বার মো. শহীদুল ইসলামের মেয়ে এবং লামা সরকারি মাতামুহুরী কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
এদিকে একই ঘটনার জেরে শনিবার রাতে বিলকিসের বড়ভাই হাবিবুর রহমানও বাড়ির পিছনে গাছের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে ফাঁসির রশি বাধা গাছের ডালটি দুর্বল হওয়ায় তিনি ডাল ভেঙ্গে নিচে পড়ে আহত হয়।
কলেজছাত্রী বিলকিসের ছোট ভাই হায়দার হোসেন সাদ্দাম বলেন, বোনটি নানার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল থেকে আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমার বোনকে পার্শ্ববর্তী মতির বাগানে গামারী গাছে সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখি। পরে ঘটনার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিমের সহায়তায় আমরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
বিলকিসের মা হাওয়া নুর বলেন, শনিবার রাত ১২ টার পর আমার বড় ছেলের বউ সুমি আক্তারের সঙ্গে আমার মেয়ে বিলকিসের ঝগড়া হয়। ছেলের বউ আমার মেয়েকে গালমন্দ করে। সেই অপমান সইতে না পেলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সুমি আক্তারকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।’
এএইচ