ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন, চাচী আশঙ্কাজনক

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুমুমপুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পানওয়ালা পাড়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী।

নিহত আবুল কালাম (৫০) পানওয়ালা পাড়ার বাসিন্দা আহমদ জালালের পুত্র। এই ঘটনায় গুরুতর আহত আবুল কালামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কুমুমপুরা পান্না পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বসতভিটার চলাচলের জায়গায় একটি ঝুঁড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে চাচা আবুল কালাম ও তার বড় ভাই আবু মুছার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে সৌরভ (২৫) চাচা আবুল কালামের পেটে, বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আবুল কালামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাধা দিলে তাকেও একইভাবে ছুরিকাঘাত করে ঘাতকরা স্বপরিবারে পালিয়ে যায়।

এদিকে, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা আবুল কালামকে মৃত ঘোষণা করেন। কালামের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই আবুল কালামের সঙ্গে বড় ভাই আবু মুসার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে আবুল কালাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

তিনি বলেন, সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ফাতেমা আক্তারের অবস্থা গুরুতর। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বসতভিটার চলাচলের জায়গায় একটি ঝুঁড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতকের পুরো পরিবার পালিয়ে গেছে। আমরা কাউকে আটক করতে পারিনি। তবে এখনও পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!