ভাঙ্গা ঘাট নিয়ে দুর্ভোগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারও মানুষ

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, খোয়াজনগর, ইছানগর, পটিয়াসহ আরও কয়েকটি উপজেলার হাজারও মানুষ নদী পারাপারে ব্যবহার করে থাকেন সদরঘাট। সম্প্রতি জাহাজের ধাক্কায় ঘাটটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এসব উপজেলার মানুষ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত নদী পার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে সকালে ও রাতে (ভাটার সময়) সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সদরঘাট দিয়ে নদী পার হওয়া সাম্পান যাত্রীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠের ঘাটটির সামান্য কিছু অংশ অক্ষত থাকলেও বেশিরভাগই ভেঙ্গে নদীর চরের সঙ্গে মিশে গেছে। ভাঙ্গা অংশে নদীর কাদা লেগে কাঠগুলো পিচ্ছিল হয়ে গেছে। আবার কিছু অংশের কাঠ একেবারেই পানিতে বিলিন হয়ে গেছে। পড়ে যাওয়ার ভয়ে অধিকাংশ নারী-পুরুষকে ঘাট বেয়ে সাম্পানে উঠতে হচ্ছে অন্যের হাত ধরে। ঘাটের এমন হাল দেখে কেউ কেউ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আবার কেউ দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসপ্তাহ আগে কাঠের ঘাটটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে। এর পর থেকেই ভাঙ্গা ঘাটটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় নাদিম মাহমুদ বলেন, ‘চাকরির জন্য প্রতিদিন শহরে আসতে হয়। একসপ্তাহ ধরে দেখি ঘাটটি ভাঙ্গা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি। জানি না ঘাটটি কখন ঠিক হবে।’

নদী পার হতে দুই সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রাবেয়া বেগম নামের এক নারী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ঘাটটি ভেঙ্গে গেছে অনেকদিন হচ্ছে। কেউ ঠিকও করছে না। সাম্পান পর্যন্ত কেমনে যাব বুঝতেছি না। এখন ভাটা আমি যেতে পারলে দু’সন্তান নিয়ে কেমনে যাবো?

ঘাটের মাঝি মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘কাঠের ব্রিজটি জাহাজের ধাক্কায় ভেঙ্গে যাওয়ায় ভাটার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে প্রায় নারী ও শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ সময় আমাদেরও কিছু করার থাকে না। ইজারাদার বলেছেন ব্রিজটি তাড়াতাড়ি ঠিক করে দিবেন।’

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি এসএম পেয়ার আলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি এখন জরুরি কাজে ঢাকায় আছি। জাহাজের ধাক্কায় ঘাটের স্ল্যাপগুলো ভেঙ্গে গেছে। এ জন্য কয়েকদিন ধরে সাম্পান যাত্রীদের পারাপারে একটু অসুবিধা হচ্ছে। ইজারাদারদের বলা হয়েছে যাতে তারা দ্রুত ঘাটটি সংস্কার করে দেয়। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঠিক করে দেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!