ভরা সড়কে সিএনজি থেকে হঠাৎ উধাও দুই শিশুসহ মা

পরিবার বলছে অপহরণ, সন্দেহে পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেছে মা ও দুই সন্তান। সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে আমানবাজার থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় এলে পাঁচ মিনিটের মাথায় সিএনজিচালক ফাতেমা আক্তার নিপা (২৪), ছেলে আদনান সাইদ অয়ন ( ৪) ও মেয়ে ফাহমিদা জাহান রিমি (২) কে নিয়ে সিএনজিচালক গাড়ি ঘুরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়— এমন অভিযোগ পরিবারের। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিখোঁজ ফাতেমা আক্তার নিপা বোয়ালখালী পশ্চিম গোমদণ্ডীর বহদ্দারপাড়া এলাকার কুয়েতপ্রবাসী ফখরুদ্দিন রুবেলের স্ত্রী।

ফাতেমা আক্তার নিপার দেবর মো.আসিফ দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘১১ নভেম্বর আমার ভাবি তার মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমানবাজার বেড়াতে যান। সেখানে একদিন থেকে গতকাল বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করা হয়। রাস্তার মাথায় এলে সিএনজিচালক বলে ‘আমি তো আনন্দনগর যাবো, আপনাদেরও নিয়ে যেতে পারি। আপনারা ১০ মিনিট বসুন। আমি কিছু টাকা নিয়ে আসছি’— এই বলে চালক গাড়ি থেকে নামলে ভাবির মা রাস্তার পাশে ভ্যানে থাকা শীতের কাপড় কিনতে নামেন। উনি নামার সাথে সাথে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চালক গাড়ি ঘুরিয়ে খুব দ্রুতগতিতে চালিয়ে নিয়ে যায়। আমার ভাবি চিৎকারও করেনি। হয়তো তাদের কোনো স্প্রে করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন ভাবি পালিয়ে গেছেন। কিন্তু না তেমন কিছুই হয়নি। আমার ভাবি তেমন মেয়ে না। আমরা নিশ্চিত উনাকে অপহরণ করা হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাক করে বোঝা যাচ্ছে আমানবাজারের কাছাকাছি কোথাও আছে। আমরা পুলিশের কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে হয়তো খুব দ্রুত খোঁজ পাওয়া যেতো। এ নিয়ে চাঁন্দগাও থানায় একটি নিখোঁজ মামলা করেছি।

কারো সঙ্গে শত্রুতা আছে কিনা— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তেমন কারোর সাথে কোনো শত্রুতা নেই। তবে জায়গা জমি নিয়ে অনেকের সাথে বিরোধ আছে।’

এ নিয়ে চান্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওনাকে যদি অপহরণ চেষ্টা করা হতো উনি নিশ্চয়ই চিৎকার চেঁচামেচি করতেন, পাশেই ওনার মা ছিলো। তাছাড়া এতো মানুষের ভিড়ে অপহরণ চেষ্টা এতো সহজ নয়। এখনো কোনো কিছুই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’

ভুক্তভোগী পরিবারের পুলিশি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করেছি। কিন্তু সেগুলোর কোনটাতেই কিছু পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ওনার পরিবারকে আমার কাছে আসতে বলুন। যা যা সহায়তা দরকার আমরা করে যাবো।

ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করেছে।

এসএএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!