ভরদুপুরে এমইএস কলেজে ছাত্র নিহত, অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেই

চট্টগ্রাম নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে দুই সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। নিহত শেখ জাকির হোসেন সানি (১৯) এক সময় চট্টগ্রামে বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করলেও কিছুদিন ধরে ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন। নিহত ও অভিযুক্ত—তিনজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। পড়াশোনা স্কুলে হলেও চট্টগ্রামে থাকাকালীন সে ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

নিহত সানির বোনের স্বামী সিআইডি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া) কুতুব উদ্দিন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এমইএস কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সহপাঠীরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসরা সানিকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।

এমইএস কলেজ ক্যাম্পাসে নিহত সানি
এমইএস কলেজ ক্যাম্পাসে নিহত সানি

জানা গেছে, প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে নিহত সানির সঙ্গে শাওন ও আয়াত নামে দুজনের কথাকাটি ও মারামারি হয়। পরে সেখান থেকে মারামারি করতে করতে কলেজের সামনে জাকির হোসেন সড়কে আসলে সানিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এই খুনের সঙ্গে একই কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ছাত্র শাওন ও আয়াত জড়িত বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে শাওনের বাড়ি সাতকানিয়ায় আর থাকে বহদ্দারহাটে ভাড়া বাসায়। আর আয়াত থাকে কদমতলী রেলওয়ে অফিসার্স কোয়াটারে। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটে। তারা দুজনই এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে কলেজ ক্যাম্পাসে পরিচিত।

এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক বলেন, ‘এমইএস কলেজে ছাত্রদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র খুন হয়েছে। তবে কারা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এখনও আটক নেই কেউ।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!