গ্রুপে যোগ না দেয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে ‘বড় ভাইয়ের’ অনুসারীরা।
আহতরা হলো কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর জয় নূর ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জামশেদ।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) পৌনে ১টার দিকে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হামলাকারী ওয়াহিদ মহসিন কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তারেক এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী। তবে ঈশান লেখাপড়া করে না। এরা সবাই চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইরাকের পক্ষে কাজ করে। জাহিদুল ইসলাম ইরাক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চিটাগাং ডাইন রেস্টুরেন্টের সামনে কথা কাটাকাটির হলে জটলা বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে ওয়াহিদুর রহমান, ঈশান (গুটি ঈশান), তারেক রহমানসহ আরো কয়েকজন মিলে অন্য ছেলেদের ওপর হামলা করে। ওয়াহিদ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়।
ছুরিকাঘাতে আহত জামশেদ বলেন, কলেজে বহিরাগতরা এসে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের হয়ে রাজনীতি করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাদের হয়ে রাজনীতি না করায় আজ কলেজ থেকে বের হলে ওয়াহিদ ছুরি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও জয় আহত হই। এক পর্যায়ে আমি আর কলেজে আসলে ঈশান আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার কথা শুনেছি। তাৎক্ষণিক টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কারা সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরএম/ডিজে