‘বড় ভাই’দের ছায়ায় বাকলিয়ায় ভয়ংকর কিশোর গ্যাং, গ্রুপে গ্রুপে অস্ত্রের ছড়াছড়ি

দুই কিশোর গ্যাংয়ের ‘প্রেমের বিরোধ’ মেটাতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার খালপাড় এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যান যুবলীগ কর্মী এমএইচ লোকমান রনি। গত বছরের ৬ এপ্রিলের এই ঘটনার একদিন পর কল্পলোক আবাসিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান প্রধান আসামি কিশোর গ্যাংয়ের ‘বড় ভাই’ সাইফুল। সাইফুল ও তার ভাই আজিজ ছিলেন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও। আবার নিহত লোকমানও ছিলেন গোলপাহাড় এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের ‘বড় ভাই’।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় এ হল কিশোর গ্যাং ও তাদের বড় ভাইদের বেপরোয়া সন্ত্রাসের একটি সাধারণ উদাহরণ মাত্র। বাস্তবে এর চেয়েও বড় বড় ঘটনা প্রতিদিনই সরবে-নিরবে ঘটছে চট্টগ্রাম নগরীর জনবহুল এই এলাকায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার উড়াল সড়কের নিচ থেকে একটি কাটা হাত উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বের করতে পারেনি হাতটি কার। কিন্তু এ থেকেই বোঝা যায়, এলাকায় অপরাধের ভয়াবহতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। এখানে কিশোর গ্যাংগুলোর বেশিরভাগই ছিঁচকে অপরাধীদের নিয়ে গড়া। ছিনতাই-চাঁদাবাজি থেকে মাদকব্যবসা— সবই চলে তাদের অংশগ্রহণে। তাদের পেছনে আছে একঝাঁক ‘বড় ভাই’— শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে যাদের অনেকেরই নাম আছে পুলিশের খাতায়। আবার এই ‘বড় ভাই’দের পেছনে আবার ক্ষমতাসীন দলের বড় বড় নেতার রয়েছে স্নেহমাখা আশীর্বাদ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকা ছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাকলিয়া এলাকায় দুর্ধর্ষ কিশোর অপরাধীদের দিয়ে আধিপত্য বিস্তারসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করছেন যারা, তাদের প্রায় সকলেই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে রয়েছেন ডিসি রোড এলাকায় কিলার ফয়সাল, পুরাতন চারতলা রাহাত্তারপুল এলাকায় দেলোয়ার হোসেন ওরফে ছোট দেলোয়ার, ধনিরপুল-খালপাড় এলাকায় এসএম সামাদ, ডিসি রোড গনি কলোনিতে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন আহাদ, শান্তিনগর বগারবিলে সোহেল ওরফে সেলু, মাস্টারপুলে সামিউল হক ওরফে নিয়াজ।

বাকলিয়া থানা এলাকায় বেপরোয়া কিশোর ছিনতাইকারীদের নেতৃত্বে আছেন দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ল্যাড়া নাছির, তৌহিদুল আলম, দিদার মার্কেটের মিঠু ও নবী, টোকাই সানি, হামকা জুলকাস ও জুয়েল, গুলি বাপ্পা, ভাগিনা সাকিব ও রুমেলসহ আলাদা আলাদা অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রুপ।

এছাড়া পার্শ্ববর্তী চান্দগাঁওয়ের ভয়ংকর সন্ত্রাসী ‘হামকা রাজু’ ও তার সহযোগীরা বাকলিয়া থানা এলাকায় ঢুকেও মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাই, সন্ত্রাসী হামলা, দখল-চাঁদাবাজিতে জড়িত। হামকা রাজু চান্দগাঁও হয়ে ঘাসিয়াপাড়া দিয়ে এসে ওই এলাকায় মাদক বিক্রি ছাড়াও সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে দ্রুত সটকে পড়েন। অন্যদিকে এসএম সামাদ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় দ্রুত বিচার আইনে চকবাজার থানা পুলিশের দায়ের করা মামলা নং-১৪(৮)২০ গ্রেফতার হন গত ২৬ আগস্ট। নগরীর চকবাজার এলাকায় অবৈধ টমটম স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সামাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও চার সন্ত্রাসী। এরা হলেন নুরুল হাকিম (২০), মো. আলমগীর মিয়া প্রকাশ রুবেল (২৬), শহিদুল ইসলাম জায়েদ (৪৩)।

প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে কিরিচ বাবুল। তার পথেই হাঁটছে চার ছেলেও।
প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে কিরিচ বাবুল। তার পথেই হাঁটছে চার ছেলেও।

২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়ায় চাঁন মিয়া মুন্সী লেইন কালাম কলোনির মুখে ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে একপক্ষের সংযোগ কাটা শুরু করে বাকলিয়ার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফয়সাল ও তার সহযোগীরা। অপরপক্ষের হয়ে বাধা দিতে আসেন স্থানীয় সন্ত্রাসী ফয়সালের একসময়ের ‘গুরু’ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় পিস্তল ঠেকিয়ে ফরিদকে গুলি করেন ফয়সাল। ‘ক্ষমতা’র জানান দিতে নিজ গ্রুপের প্রধানকেও গুলি করতে হাত কাঁপেনি তার। এলাকায় তার ভয়ে কেউ টু শব্দ করার সাহস করে না। কথায় কথায় গুলি চালান ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী।

জানা গেছে, বাকলিয়া, চকবাজার ও কোতোয়ালী— এই তিন থানার সীমানা এলাকার ত্রাস ফয়সাল ওরফে ডিবি ফয়সাল। বারবার গ্রেফতার হলেও খুব দ্রুত জামিনে বেরিয়ে যান এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী। ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ফয়সাল। ওই মামলায় পরের বছর দেওয়ানবাজার এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আটকও হন। এছাড়া বায়েজিদ থানায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঘরের ফেরার সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নেতা রিপন মারা যান। এ মামলায়ও ফয়সাল এজাহারনামীয় আসামি। তিনটি হত্যাসহ অন্তত ১৮টি মামলায় এখন অভিযুক্ত ফয়সাল। যার বেশিরভাগই অস্ত্র ও হত্যা কিংবা হত্যাচেষ্টায় দায়ের করা মামলা। তবু এই ফয়সালের নাগাল পায় না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউই। স্থানীয় থানাকে ম্যানেজ করেই ফয়সাল বিপুল প্রতাপে চলে— এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বাকলিয়ার অপরাধজগতে প্রায় তিন দশক রাজত্ব করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী দিদারুল হক কাজেমী ওরফে কিরিচ বাবুল। খুন, চাঁদাবাজি, দস্যুতাসহ অস্ত্র আইনে অন্তত ৪০টি মামলার আসামি তিনি। মাস্টারপুল বউবাজার, দেওয়ানবাজার, চন্দনপুরা গণি বেকারি, বক্সিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তার বাহিনী সক্রিয়। এলাকাবাসী বলছেন, বাবুল এ পর্যন্ত কতবার আটক হয়েছেন, সেই হিসাব কেউ জানে না। ধরা পড়েন, আবার কয়েকদিন পরে ঠিকই কারাগার থেকে বের হয়ে যান কিরিচ বাবুল। এসেই আবার স্বরূপে ফিরে যান।

সর্বশেষ র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন গত বছর। চার স্ত্রীর ঘরে কিরিচ বাবুলের রয়েছে ২৬ সন্তান। এর মধ্যে বাবার পথেই হাঁটছে তিন থেকে চার ছেলে। গত বছর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবুলের ছেলে সামিউল হক কাজেমী ওরফে নিয়াজকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে গোপন ‘টর্চার সেলে’ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নয়া রাস্তা খালেরপুল এলাকা থেকে কিরিচ বাবুলের আরও দুই ছেলে আছিবুল হক কাজেমী ওরফে হাসান ও মো. রাকিবুল হক কাজেমী ওরফে রুবেল দেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে। বাবুলের ছেলেদের নেতৃত্বে অসংখ্য কিশোর অপরাধী মাস্টারপুল বউবাজার, দেওয়ানবাজার, চন্দনপুরা ও বক্সিরহাট এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। তাদের ভয়ে সেখানে কেউ টু শব্দটিও করার সাহস পান না।

দাগি আসামি সোলায়মান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অনুষ্ঠানে রীতিমতো অতিথির বেশে যোগ দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উঠেন।
দাগি আসামি সোলায়মান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অনুষ্ঠানে রীতিমতো অতিথির বেশে যোগ দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উঠেন।

গত বছর দেওয়ানবাজার এলাকায় এক বিচারকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় আশেপাশের এলাকায় আরও কয়েকটি বাসায় চুরি হয়। এসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে আটক হন সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য আনোয়ার মালিঙ্গা। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এই চক্রের দলনেতা সোহেল নামে এক ‘বড় ভাই’। পরে পুলিশের অভিযানে চোরচক্রের সর্দার সোহেল ওরফে সেলু অস্ত্রসহ আটক হন। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন চোরাইমালও উদ্ধার করে পুলিশ।

বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকার ত্রাস হলেন সোলায়মান। দাগি এই আসামি গত ২৬ জুলাই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অনুষ্ঠানে রীতিমতো অতিথির বেশে যোগ দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উঠেন। এরপর গত ২৭ জুলাই বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সোলায়মান বাকলিয়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও চারটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। ২০১১ সালে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কোস্টগার্ডের হাতে। বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় ২০০৯ সালের ২৬ মে গুলি করে হত্যা করা হয় কাঠমিস্ত্রি মাহবুবর রহমানকে। এই মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ সোলায়মান। বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ওরফে মানিককে হত্যাচেষ্টা মামলারও আসামি তিনি। আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে এই সোলায়মান পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার আগ্রহও দেখিয়েছিলেন।

রাজাখালীর আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হন পুলিশের হাতে। অন্তত ১০টি মামলার এই আসামি গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন এক মামলার সাক্ষী জিয়াউল হককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী হত্যামামলার প্রধান আসামি এহতেশামুল হক ভোলার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলে পরিচিত এই মামুন। চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

চোরের সর্দার সেলু এভাবে ছবি ছেপে পোস্টারে এলাকা ছেয়ে দিলেও প্রতিবাদ তো দূরের, সব জেনেও অনেকেই তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে গেছে।
চোরের সর্দার সেলু এভাবে ছবি ছেপে পোস্টারে এলাকা ছেয়ে দিলেও প্রতিবাদ তো দূরের, সব জেনেও অনেকেই তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে গেছে।

বাকলিয়া থানার শান্তিনগর এলাকায় ইসলাম ভিলার বাসিন্দা সেলু। ছয় বছর আগে তিনি একটি ভাঙারি দোকান দেন বগারবিল এলাকায়। তিন বছর আগে দোকানটি তার ছোট ভাইকে দিয়ে দেন। এরপর হঠাৎ তার আবির্ভাব হয় ‘শ্রমিক লীগ নেতা’ হিসেবে। এলাকায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিসও খুলে বসেন। এমনকি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও লাগিয়েছেন সেখানে। উঠতি বয়সেই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তিনি নিয়মিত চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে যান। গড়ে তোলেন কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন অভিযোগে ওই সময় সাতটি মামলায় আসামি হন তিনি। প্রথম দিকে তার গুরু ছিল আমজাদ হোসেন নামে কথিত এক ‘বড় ভাই’। তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন সেলু। দিন যত গড়িয়েছে, অপরাধজগতে সেলুর উন্নতি হয়েছে ততোই।

পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ করিম টিটুর অনুসারী পরিচয়ে এলাকায় রীতিমতো ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন সেলু। গত বছরের জুলাই মাসে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন মাসুদ করিম টিটু। ওই নির্বাচনে সোহেল ও তার কিশোর গ্যাং টিটুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। সেই সেলু পরে কোতোয়ালী থানার চুরি ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। ফের এলাকায় আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তার বাহিনী নিয়ে— জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মাসুদ করিম টিটু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বাকলিয়া ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ফোনে ‘নির্বাচনী খরচ’ চেয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করার জন্য বাকলিয়ার উদ্দেশ্যে আসা দুই বাসভর্তি ৪৬ জন সন্ত্রাসী বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঘটনাও আলোড়ন তুলেছিল। টিটুই তাদের নিয়ে আসছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা। বাকলিয়ায় যখন টমটম চলতো, তখন টিটুর অনুসারী কিছু ছেলে ওই অংশের চাঁদা তুলতো গাড়িগুলো থেকে। সিটি কলেজের সাবেক ভিপি মাসুদ করিম টিটু লালখানবাজার এলাকার সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুমের বন্ধু। দুজনেই মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ ছেড়ে নাছির গ্রুপে গিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!