বড় জালিয়াতি, ৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি ভোটার করেছে নির্বাচন কমিশনের ৪ লোক

খোরশেদ আলম, মাহফুজুল ইসলাম, রাসেল বড়ুয়া ও মোস্তফা ফারুক। চারজনই নির্বাচন অফিসের লোক। রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে ডেল ৬৩০ নামীয় একটি নির্বাচন কমিশনের একটি ল্যাপটপ আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা। এ ল্যাপটপ ছাড়া আরও কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করেছে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায়।

ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রতিজন রোহিঙ্গার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। সেখানে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগের প্রক্ষিতে দীর্ঘ অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে নির্বাচনের কমিশনের এক কর্মকর্তাসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, কক্সবাজার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উপজেলা সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুক।

দুদক সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চারজনই নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তাসহ তিনজন কর্মচারী। তারা অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে আত্মসাৎ করে নির্বাচন কমিশন অফিসের একটি ল্যাপটপ। আত্মসাৎ করা লেপটপ ছাড়াও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে আরও কয়েকটি ল্যাপটপ।

এসব ল্যাপটপ দিয়ে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন অভিযুক্তরা। দণ্ডবিধির ২০১, ৪০৯, ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৫৫ হাজার ৩১০ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এসব কাজ সহজে করতে নির্বাচন কমিশন থেকে আত্মসাৎ করে একটি ল্যাপটপও।

একই সঙ্গে অবৈধ ভোটার তালিকায় ব্যবহার করেছে আরও কয়েকটি ল্যাপটপও। তদন্তে আরও কেউ জড়িত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- যোগ করেন এই কর্মকর্তা।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!