ব্যাংক লোপাটের চক্রে শিল্পপতি বাবা-ছেলে ও ভাই-ভাই

চট্টগ্রামের ৪ শিল্পপতির বিরুদ্ধে এবি ব্যাংক চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ইলিয়াস ব্রাদার্সের (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলমসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলা জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপসহকারী হোসাইন মামলা গ্রহণ করে রেকর্ডভূক্ত করেন।

আসামিরা হলেন- ইলিয়াস ব্রাদার্সের (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক বিএনপির নগর সহসভাপতি শামসুল আলম ও তাঁর ছেলে নাহার ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়াইব রিয়াদ এবং নুরজাহান গ্রুপের মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ রতন ও তার ভাই একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, এ বি ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. আশরাফুল আজিজ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে একে অপরের যোগসাজশে মোটা অঙ্কের কমিশন পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাংক ঋণের মৌলিক তথ্য গোপন করার মাধ্যমে ভূয়া দলিল দাখিল করেছে। এতে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ দশমিক ৮০ পয়সা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে ট্রান্সপার ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে পুরো অর্থটা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪০৯, ৪২০,৪৬২ (ক), ৪৬২ (খ), ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ২০০৯ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ভূয়া দলিল দাখিল করে মালামাল কেনাবেচার ছদ্মাবরণে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে টাইম লোন নিয়ে আত্মসাত করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তারা জ্ঞাতসারে সেই অর্থ ট্রান্সফার ও লেয়ারিং করে অর্থের অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেন বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।

মুআ/এসএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!