ব্যাংকে লেনদেন চলবে আড়াই ঘণ্টা

লকডাউন চলাকালে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (৪ এপ্রিল) এ সার্কুলার জারি করা হয়।

সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত দৈনিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা। লেনদেনের সময় সূচি সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে,‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলো জরুরি ব্যাংকিং সেবা প্রদান অব্যাহত বা নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবলের বিন্যাস উপস্থিতির বিষয়টি ব্যাংক নিজ বিবেচনায় সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে শাখার নিকটবর্তী স্থানে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

সার্কুলারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে,জনস্বার্থে ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও অফিসের কর্ম-পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সংক্রান্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালনের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’

‘গ্রাহকদের হিসাবে সর্বপ্রকার জমা ও উত্তোলন ডিমান্ড ড্রাফট অথবা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ,ট্রেজারি চালান গ্রহণ,সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা ও অনুদান বিতরণ,বৈদেশিক রেমিট্যান্স-এর অর্থ পরিশোধ,অভ্যন্তরীণ ও অন্ত শাখা অর্থ স্থানান্তর, এলআরবি বন্ডে এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদ পূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ,প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি,যথা গ্যাস পানি বিদ্যুৎ টেলিফোন বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন প্রকার পেমেন্ট সিস্টেম এর বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।’

‘নগদ জমা উত্তোলনের জন্য অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের কার্যরত যে সকল ব্যাংকের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শাখা রয়েছে সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক একটি শাখা ( অথরাইজড ডিলার শাখা ব্যতীত) হতে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার শর্তে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে,‘গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্য (অথরাইজড ডিলার) শাখা ও লেনদেন অব্যাহত রাখতে হবে। সমুদ্র ও স্থল ও অভিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট অব কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, প্রশাখা বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং লেনদেন সময়সূচী ও কার্যক্রম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেদের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে । এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সন্ধ্যাকালীন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটিকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!