চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় রাতের আঁধারে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নুরুল আশরাফ নামের এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ কচি ও তার বাহিনী। জায়গার কেয়ারটেকারের যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আশরাফ।
এ ঘটনায় কচিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নুরুল আশরাফ। অন্য চারজন হলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজীব, আশরাফের ওই জায়গার কেয়ারটেকার মো. রহমান (৪০), জমির উদ্দিন মাসুদ (৪২) এবং কামাল পারভেজ (৪৫)।
তবে ১৪ বছর ধরে নুরুল আশরাফের ভোগ-দখলের থাকলেও কচির দাবি, তিনি ১৯৮৬ সালে কিনেছেন এ জায়গা।
কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফিরোজশাহ কলোনির শাপলা আবাসিক এলাকায় ৫ গণ্ডার একটি জায়গায় সরোয়ার মোর্শেদ কচি ও রাজিব মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড বসিয়েছেন। আর টাঙানো ওই সাইনবোর্ডে লেখা আছে-‘এই জায়গার মালিক সরোয়ার মোর্শেদ কচি ও আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজীব’। এদিকে আকবরশাহ থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা যায়, আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজীবের বয়স এখন প্রায় ৪০ বছর। অর্থাৎ সে অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে তার বয়স ছিল প্রায় ৪ বছর। সেই হিসেবে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, রাজীবের সঙ্গে যৌথভাবে তখন কীভাবে তিনি এ জায়গা ক্রয় করেছেন?
সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে লাগিয়েছে মন্তব্য করে আশরাফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে জায়গাটি আমার দখলে। এটি নামজারিও আমার নামে। ওই জায়গায় কাঁচাঘর ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে মাসিক বেতনের চুক্তিতে রহমানকে কেয়ারটেকার হিসেবে রাখি। কিন্তু শুক্রবার রাতে রহমানের যোগসাজশে কচি ও রাজীবের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী আমার সীমানার গাছ কেটে এবং ঘর ভেঙে দেয়। গ্রামের বাড়িতে থাকার কারণে পরেরদিন গিয়ে আমার জায়গায় নতুন সাইনবোর্ড দেখি। এরপর আমি সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।’
জায়গাটি ১৯৮৬ সালে কিনেছেন দাবি করে কচি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০০৮ সালে একই জায়গা উনি কিনেছেন। আমি আমার জায়গায় সাইনবোর্ড দিয়েছি। উনি অভিযোগ করার পর পুলিশও ঘটনাস্থল ঘুরে গেছে।’
এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বসে এটা মিটমাট করে নেবেন বলে জানিয়েছেন।’