বোটের মাঝির আড়ালে মাদকের বড় বাণিজ্য, ধরা খেল দুদকের জালে

জসীম উদ্দিনকে স্থানীয়রা চিনত কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরে বোটে মাঝি হিসেবে। কিন্তু এই পেশার আড়ালে তিনি করতেন মাদক ব্যবসা। টেকনাফ থেকে মাদকের বড় চালান এনে চট্টগ্রামের একশ্রেণির পাইকারী ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করতেন তিনি। এভাবে তিনি গড়েছেন অঢেল অবৈধ সম্পদ। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর দফতরের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আসামি জসীম উদ্দিন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার খোর্দ্দ গরিরা এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে।

দুদক জানায়, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর জসীম উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর তিনি দুদকের দাখিলের নোটিশ গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি সম্পত্তি ৩ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার টাকার স্থাবর এবং ১৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখান জসিম। তার সম্পদ যাচাইয়ের সময় ৩ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৪ টাকার স্থাবর এবং ২৯ লাখ ২১ হাজার ৩৪৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। এরমধ্যে ৯১ লাখ ৩০ হাজার ২০১ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের তথ্য অসঙ্গতিপূর্ণ পায় দুদক কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জসিম একজন মাদককারবারি। স্থানীয়রা তাকে বোটের মাঝি হিসেবে চিনত। এই পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে তিনি গড়েছেন অঢেল সম্পদ। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্তে অন্য কারও সম্পৃক্তা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!