বেড়িবাঁধ কেটে অবৈধ শৌচাগার বানাচ্ছে আওয়ামী লীগের তিন নেতা

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

চট্টগ্রামের আউটার রিং রোডের ফুটপাত দখল করে বানানো হচ্ছে গণশৌচাগার। বেড়িবাঁধের নিচ থেকে মাটি কেটে চলছে এই স্থাপনা নির্মাণের জায়গা সমান করার কাজ। এর ফলে ভারী বৃষ্টিতে সদ্য তৈরি হওয়া নির্মাণ আউটার রিং রোডের ফুটপাত ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সরকারদলীয় স্থানীয় তিন নেতার উদ্যোগে অনুমোদনহীন এ গণশৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মসজিদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় সম্প্রতি তৈরি করা বেড়িবাঁধের নিচের অংশ থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই জায়গার অধিকাংশ অংশে মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সৈকতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য এ শৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পতেঙ্গা থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম ও একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলামের উদ্যোগে অনুমোদনহীন এই স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আউটার রিং প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে চলছে এ দখল বাণিজ্যের কাজ। তারা সমুদ্র সৈকত এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন নষ্ট করে গণশৌচাগার নির্মাণ করছেন। বেড়িবাঁধের নিচ থেকে মাটি কেটে সেখানে জমি ভরাট করা হচ্ছে।

তারা আরও জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে মাটি ভরাটের কাজ করতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাঁধা দেন। সিডিএর কাছ থেকে অনুমোদন না নিয়ে গণশৌচাগার নির্মাণ করারও প্রতিবাদ জানান তারা।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে সিডিএর অনুমতিপত্র দেখানোর জন্য বলি। কিন্তু তারা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বেড়িবাঁধের নিচ থেকে মাটি কাটার কারণে যে কোনো সময় বেড়িবাঁধ ধসে পড়া সম্ভাবনা রয়েছে।’

জানতে চাইলে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের মোবাইলে করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কোনো গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়নি। এ ধরনের কোনো দরপত্র হওয়ার কথাও ছিল না। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!