বেড়ানো/ নীলাচল নীলগিরির ডাকে পর্যটকরা ছুটছে বান্দরবানে

সবুজ পাহাড়ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের শহর বান্দরবান। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন । নীলাচল ও নীলগিরির মেঘ যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে ।

bandarban-tourism

ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকরা শহরের কোলাহল থেকে একটুখানি স্বস্তির সন্ধানে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ান বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণমন্দির, শৈলপ্রপাত ও নীলগিরিতে। বেলা বাড়তে বাড়তে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তে থাকে ভিড় ।

bandarban-tourism

পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক । কেউ এসেছেন সপরিবারে, আবার কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে । মেঘের ভেলা ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অনেকে বন্দি করছেন তাদের মুঠোফোনে।

bandarban-tourism

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শায়লা আক্তার জানান, ‘ঢাকা থেকে বান্দরবান দেখতে এসেছি। প্রথমেই স্বর্ণমন্দির দেখতে গিয়েছি। অনেকে ভালো লেগেছে। বরাবরের মতই পাহাড়, জঙ্গল আমার কাছে অনেক প্রিয়। অনেক সুন্দর এই জায়গা।’

ঢাকার সাভার থেকে আসা জায়েদ হাসান জানান, ‘কাজ কর্মে অনেক ব্যস্ত থাকি। তবে ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করে ঘুরতে বের হলাম। বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলায় গেলাম। ঘুরতে অনেক ভালো লাগছে। এত সুন্দর একটা জায়গা ভাবা যায় না।’

বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, হোটেল মোটেলগুলো পর্যটকে ভরপুর। বৃষ্টি না হলে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভীড় আরো বাড়তো।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হৃদয় চাকমা জানান, এখানে আসলে পর্যটকদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। ওই সমস্যাগুলো যেন না হয় সেগুলোর সমাধানের চেষ্টা করছি। বান্দরবানে পর্যটকরা এসে খুশি মনে ঘুরে যাবে এবং আগামীতে এখানে যেন আবারও আসে এই প্রত্যাশা রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!