বেড়াতে গিয়ে এক রাতেই দুই দফা ধর্ষণের শিকার উপজাতীয় তরুণী

চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর বান্ধবীর কাছে বেড়াতে গিয়ে দুই দফা ধর্ষণের শিকার হলেন উপজাতীয় এক তরুণী। বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রথমে রিকশাচালক তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে পথে ধর্ষিত ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বান্ধবীর বাসায় নেওয়ার নাম করে এক সেলুনকর্মী আবার তাকে ধর্ষণ করে। ওই তরুণীর বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলায়।

জানা গেছে, রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামে বোনের বাসা থেকে ফেনী শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় নন্দিনী নামের এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে যান ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। রাত ১১টার দিকে মহিপালে বাস থেকে নেমে রিকশায় ওঠেন তিনি। কিন্তু রিকশাচালক মো. রিয়াদ তাকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাত ২টার দিকে শহরের দেওয়ানগঞ্জ মুক্তার বাড়ি সংলগ্ন ডেকোরেশন দোকানের সামনে একটি গাছের সাথে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে রিকশাচালক চলে যায়।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা সেলুন দোকানের কর্মচারী ছোটন শীল তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে হেঁটে দেওয়ানগঞ্জের অদূরে ফতেহপুর যাওয়ার সড়কের কালভার্টের একটি দোকান ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আবার জোর করে ধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে।

এরপর মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে ওই সেলুন কর্মী বিসিক সড়কের দিকে চলে যান। পথে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত এএসআই ফিরোজ আহমেদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে নির্যাতিতা তাকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর দেওয়া তথ্যমতে রিকশাচালককেও আটক করা হয়।

ছোটন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার ধর্মপুর এলাকার সমীর শীলের ছেলে। তিনি ফেনী শহরের হাজারী রোডের একটি সেলুনের দোকানে চাকরি করেন। অন্যদিকে রিকশাচালক রিয়াদ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার মো. সাদেকের ছেলে।

ফেনী মডেল থানার এএসআই ফিরোজ জানান, ধর্ষিত ওই তরুণীর দেওয়া তথ্যমতে আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে নন্দিনী নামের এমন কোনো বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ফেনী মডেল থানার ওসি (অপারেশন) আদিল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!