বেলজিয়ামের আদলে চট্টগ্রাম বন্দরেরও হবে থ্রি-ডি মডেল

বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প সমুদ্র বন্দরের আদলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে থ্রি-ডি মডেলে দেখতে চায় সংসদীয় কমিটি। এ লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এতে জানানো হয়, ২০২০ সালে অভ্যন্তরীণ নৌযানের নাবিক এবং সমুদ্রগামী জাহাজের অফিসার ও নাবিকদের মাধ্যমে দেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির আগের বৈঠকে সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম প্রসঙ্গটি তোলেন। ওই বৈঠকে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি থ্রি-ডাইমেনশনাল মডেল প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প সমুদ্র বন্দরের আদলে চট্টগ্রাম বন্দরের থ্রি-ডি মডেল তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে কমিটির বৈঠকের সুপারিশেও বিষয়টি আনা হয় এবং থ্রিডাইমেনশনাল মডেল প্রস্তত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৈঠকে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌযানের নাবিক এবং সমুদ্রগামী জাহাজের কর্মকর্তা-নাবিকদের মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে দেশে ২৭ হাজার ৯০৭টি নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে।

কমিটি মনে করে, দেশের সব নৌযানকে এখনও সার্ভের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এটি সম্ভব হলে নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে এবং রাজস্ব বাড়বে। এজন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব নৌযানকে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভের আওতায় আনা এবং রেজিস্ট্রেশন দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা অংশ নেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!