বেতন দিতে দেরি, ছাত্রকে পিটিয়ে রক্ত ঝরালো চট্টগ্রামের কোচিং সেন্টার

নানা অজুহাতে মারধর চলে নিয়মিতই

বেতন দিতে মাত্র দুইদিন দেরি হওয়ায় এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের জেপি ইনোভেটিভ নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আবু সালেহ’র বিরুদ্ধে। মারধরের কারণে ওই ছাত্রের হাতের তালু থেকে রক্তক্ষরণ হয়।

রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে নগরীর হালিশহরের জেপি ইনোভেটিভ কোচিং সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের আগে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে ঘন্টাখানেক আটকে রাখা হয়। এই কোচিং সেন্টারটি আগে ‘পাঞ্জেরি’ নামে পরিচিত ছিল।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইশমাম। সে কোচিংয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত ব্যাচের ছাত্র। অন্যদিকে মারধরকারী আবু সালেহ অষ্টম শ্রেণি ব্যাচের ইনচার্জ।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেত্রাঘাত নিষিদ্ধ হলেও এই কোচিংয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মারধর করা হয় বলে অভিযোগ আছে। পাশাপাশি প্রতিদিনের সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও রোববারের ফুটেজ ‘আগে থেকে বন্ধ ছিল’ বলে জানানো হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কোচিংয়ে মাস শেষ না হতেই ১৫ দিন আগে বেতন জমা দিতে হয়। কিন্তু আমার ছেলে চলতি মাসের বেতন দিতে দুইদিন দেরি হওয়ায় আমার ছেলেকে আটকে রাখা হয়। পরে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইনচার্জকে ফোন দিয়ে আমি কাল যাবো বলে জানাই এবং আমার ছেলেকে ছেড়ে দিতে বলি। তখন অষ্টম শ্রেণির ইনচার্জ আমার ছেলেকে বলে আসো মার খেয়ে যাও। এই বলে তার হাতের তালুতে লেদারের স্কেল দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। একপর্যায়ে তার হাত থেকে রক্ত বের হয়।’

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবু সালেহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি তাকে মারধর করি নাই। একসাথে অনেকজন থাকায় হয়ত অন্য কাউকে মারার সময় তার হাতে একটু লাগতে পারে।’

কোচিংয়ে মারধর হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে করা হয়।’ তবে আজকের (রোববার) সিসিটিভি ফুটেজ আছে কিনা জানতে চাইলে আগে থেকে সিসিটিভি বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে কোচিংয়ের মালিক ও পরিচালক মো. জুয়েলকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল কেটে দেন। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!