বেতনের দাবিতে রাস্তায় চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালের কর্মীরা

করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ। যে ক’টি খাতের প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালও। করোনায় চট্টগ্রামের বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবসা অন্যান্য সময়ের মতই রয়েছে স্বাভাবিক। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের দিয়ে যাচ্ছে সেবা। মালিকের ঘরে তুলে দিচ্ছে কোটি টাকার লাভের গুড়।

কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে করোনার অজুহাত দেখিয়ে যদি এমন প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন-বোনাস না দেয়, তাহলে কি তা গ্রহনযোগ্য হবে? নিশ্চয় না।

কিন্তু এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছে চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এলাকার নামকরা বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটি তাদের তিন শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর বেতন-বোনাস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ঈদ বোনাস এবং মে মাসের বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সোমবার (১৮ মে) এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা সকালে কাজে যোগদান না করে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তৃপক্ষ বোনাস পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়ে দেয়। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে কাজে যোগ দেয় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা৷

জানা যায়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মে মাসের বেতন ও বোনাস দেওয়ার দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছিল হাসপাতালে কর্মরতরা৷ কিন্তু ঈদের আগে বেতন-বোনাস দিতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ। এ কারণে আন্দোলনের পথ বেছে নেয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিজেদের জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখে আমরা দিন-রাত তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি। করোনার সময়ে হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা, ল্যাবে টেস্টের সংখ্যাও বেড়েছে বহুগুণ। আমাদের কারণেই কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা তাই ঈদের আগে বোনাস ও মে মাসের বেতন দিতে কর্তৃপক্ষকে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু করোনার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বেতন-বোনাস তারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সেইজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ল্যাব আর হাসপাতাল মিলে প্রায় তিনশো’র বেশি স্টাফ আছে। ঘন্টাখানেক অবস্থান নেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ মে মাসের বেতনের ব্যাপারে কিছু না বললেও বোনাস পরিশোধ করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’

এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে ন্যাশনাল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. আবু নাছেরের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এসআর/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!