বেকারদের ‘সরকারি চাকরি’ দিয়ে বেড়ায় তারা তিন জন

গাইবান্ধা জেলারর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল জব্বারের ছেলে রেজাউল করিম। বসবাস করেন রাজধানী ঢাকার মীরপুরে একটি বহুতল ভবনে। কেউ জানে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আবার কেউ জানে সরকারী অন্য কোনো অফিসের ক্ষমতাধর কর্তাব্যক্তি।

তিনি চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সরকারি অফিসে যে কাউকেই যে কোন পদে নিয়োগ দিতে পারেন। এজন্য চাকরি প্রার্থী খুঁজে বের করার মানুষও আছে তার। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেকারদের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেন দেন! নিয়োগ পরীক্ষাও হয়, বাছাইয়ের জন্য হয় মোখিক পরীক্ষাও! তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয় সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র!

কিন্তু নির্দিষ্ট দিনক্ষণে ওই চাকরি প্রত্যাশী যুবক চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে যখন হতাশ হয়ে ফিরে আসেন তখন রেজাউল আর তার সহাযোগীরা থাকে অন্য কোনো নগরে, অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য বুনতে থাকে প্রতারণার জাল।

সেই প্রতারক রেজাউল করিম এবার তার অপর দুই সহযোগীসহ ধরা পড়লো চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে। চৌমুহনী এলাকার দুবাই হোটেল থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল নিয়োগপত্র, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের জাল সিলমোহর উদ্ধার করা হয়।

রেজাউলের অপর দুই সহযোগী হল জহুরুল ইসলাম ও মো. আব্দুস শহিদ। জহুরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পৌরসভার আব্দুল হামিদের ছেলে। শহিদ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। চট্টগ্রামের পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকায় বসবাস করতো শহিদ।

এই প্রতারক চক্রের সর্বশেষ শিকারদের একজনের প্রতিবেশী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত মো. সোহেল রানা। ওই ভিকটিম ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগের বিষয় জানালে তিনি খবর নিয়ে দেখেন সবই জালিয়াতি।

বুধবার বিকেলে ডবলমুরিং থানাকে বিষয়টি জানালে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ এই প্রতারকদের আটক করে।

এই প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে জানিয়ে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার জনান, ‘আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!