বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় জনজীবন অচল

বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় জনজীবন অচল 1বিশেষ প্রতিনিধি : বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তি থেকে কোনভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না নগরবাসী। সোমবার অবিরাম বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। দোকান ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রবল এ বর্ষণে জনজীবনে নেমে এসেছে অচলাবস্থা । এছাড়া যানবাহন সংকটে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে ভূমিধসের আশংকা।

সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, বাদুরতলা, আরাকান হাউজিং, বাকলিয়া, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকসহ নিচু এলাকাগুলো হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, নগরীর খাল নর্দমাগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হয় না। লোক দেখানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না। নগরীর প্রায় খালগুলোতে আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। এইসব খালগুলো ভালো করে খনন করার তেমন উদ্যোগ নেই। বরং কিছু কিছু খাল থেকে আবর্জনা তুলে খালের পাড়ে রাখা হয়। ফলে বৃষ্টি হলে সেই আবর্জনাগুলো ফের খালে গিয়ে পড়ছে।

নগরীতে বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা মো. হাছান বলেন, জলাবদ্ধতা যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি পড়লেই এ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ওসমান গণি বলেন, কবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব- জানি না। মেয়রের আশ্বাস শুধু শুনেই আসছি। কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং জলাবদ্ধতার জায়গা দিনের পর দিন বাড়ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!