সতর্কতা/ বৃষ্টি চলবে তিন দিন, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা

বন্দরের সতর্কতা সংকেত তিনে

মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। আর অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রে বন্দরে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে মহানগরের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও বোটসমূহকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।

আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। এরই মধ্যে সকাল ৬টা পর্যন্ত টেকনাফে সর্বোচ্চ ৮৩ মিলিমিটারসহ সারাদেশের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৪ দশমিক ৬ মিলিলিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, ‘শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।’

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর ও মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ অতিক্রম করে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!