বৃষ্টির সহায়তার পরও নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস পরাজয়

বৃষ্টি যেন শ্রীলঙ্কাকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাই করলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। যে ম্যাচটিতে একটু ভালো খেললেই সহজে ড্র নিয়ে ফিরতে পারতো লঙ্কানরা, সেই ম্যাচটিতেই তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে এক ইনিংস এবং ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ করেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।

কলম্বো টেস্টের শুরু থেকেই হামলে পড়ে বৃষ্টি। প্রথম দিন সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র এক সেশনের মতো (৩৬.৩ ওভার)। দ্বিতীয়দিন হয়েছে ত্রিশ ওভারেরও কম। শুধুমাত্র তৃতীয় দিনেই হয়েছে সারাদিনের খেলা, মাঠে গড়িয়েছে ৮৭ ওভার। পরে চতুর্থ দিনে আবার হানা দেয় বৃষ্টি, খেলা হয় মোটে ৪৮ ওভার। অর্থাৎ টেস্টের প্রথম চার দিনে সব মিলিয়ে হয়েছে ২০১ ওভার আর হারিয়ে গেছে দেড়শ ওভারের বেশি।

অথচ এমন একটি টেস্টেও ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারলো না শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির আশীর্বাদটা নিতে পারলো না। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ২৪৪ রানে। জবাবে টম লাথাম (১৫৪) আর বিজে ওয়াটলিংয়ের (অপরাজিত ১০৫) জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ৪৩১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড।

১৮৭ রানে পিছিয়ে থাকা লঙ্কানদের জন্য আসলে ইনিংস পরাজয় এড়ানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পঞ্চম দিনে ৫ ওভারের মতো ব্যাটিং করেই শ্রীলঙ্কাকে ছেড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়বার নেমে রীতিমত লজ্জাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখায় স্বাগতিকরা। ২২ রানেই তারা হারিয়ে বসে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে। ৩২-এ হারায় ৫ উইকেট। সেই ধারাবাহিতকায় ৭৫ রানে ৭টি উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে আসে শ্রীলঙ্কা। অষ্টম উইকেটে যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন নিরোশান ডিকভেলা। সুরাঙ্গা লাকমলকে নিয়ে তার ৪০ রানের জুটিটি ড্রয়েরও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

লাকমলকে (১৪) হারানোর পর হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেই সাজঘরের পথ ধরেন ডিকভেলাও (৫১)। এর পাঁচ বলের ব্যবধানে এম্বুলদানিয়ার শেষ উইকেটটিও তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট, জয়ের উল্লাসে মাতে কিউই শিবির। ৭০.২ ওভারে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১২২ রানেই। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সবাই কম বেশি উইকেট পেয়েছেন। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট, টিম সাউদি, সমারভিল, অ্যাজাজ প্যাটেল। একটি উইকেট শিকার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!