নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে রোববার (৩ আগস্ট) সকাল নয়টা থেকে পূর্ববর্তী ৭ ঘণ্টার থেমে থেমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল আবারো জলমগ্ন হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
এদিকে রোববার সকাল ৯টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ১১০ দশমিক ০৮ মিলিমিটার (মি.মি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ ২৪ ঘণ্টায় ১১০ দশমিক ০৮ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রোববার বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমতে পারে।’
এদিকে শনিবার রাতে বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, বাদুরতলা, চাকতাই, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদসহ নগরীর বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। অনেকের বাসা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন কোরবানের ঈদে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া লোকজন।
বাকলিয়া এলাকার জোহান বলেন, রাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিকে রাস্তায় কোমড় সমান পানি। অনেকের বাসা-বাড়ি ও দোকানের ভিতরে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরীর নিম্নাঞ্চল পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় পানি উঠবেই। জোয়ার আর বৃষ্টির পানিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় পানির স্রোত বেশি দেখা যাচ্ছে। কখন যে এই এলাকার দুর্ভোগের শেষ হবে। এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ীভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রতি জোর দেন জোহান।
আবহাওয়ার পূর্বাবাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।