বুলডোজারের চাপায় ক্ষতবিক্ষত ৫ ইটভাটা, জরিমানা গুনল ৭ লাখ

পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাঁচটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিল পাঁচ ব্যক্তি। এসব ইটভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ভাটাগুলোর কালো ধোঁয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের কেউ প্রতিবাদ করলে মালিকেরা তাদের নানাভাবে হয়রানি করেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ফটিকছড়ির নানুপুর ও খিরাম এলাকায় পাঁচ ইটভাটাকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।

জানা গেছে, ফটিকছড়ির খিরাম এলাকার মেসার্স এবি ব্রিকস লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারও লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করে। জেলা প্রশাসন তাদের আরও কিছু শর্তপূরণের জন্য বললে তারা সেই কাগজপত্র জমা দিয়ে অনুমতির আগেই ইট পোড়ানো শুরু করে। এছাড়া বাকি ইটভাটাগুলোতেও নেই জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স। নেই পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র কিংবা বিএসটিআইয়ের কোনো মানপত্র। তারপরও তারা ক্ষমতার দাপটে আশপাশের বন উজাড় করে কাঠ পুড়িয়ে চালাচ্ছিল ইটভাটাগুলো। পোড়ানো হতো পাশের কৃষি জমির মাটিও। তবে শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে অভিযানে এসব ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হলো।

অভিযানে মেসার্স এবি ব্রিকস ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, শাহ আমানত ব্রিকসকে ২ লাখ টাকাসহ মোট ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মেসার্স এবি ব্রিকস, শাহ আমানত ব্রিকস, মেসার্স খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী ব্রিকস, মেহেরুজ্জাহা রহঃ ব্রিকস ও নেক্সাস ব্রিকস গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়া ইটভাটাগুলো চালাচ্ছিল। অভিযানে দুটি ইটভাটাকে জরিমানাসহ পাঁচটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে উপজেলার মোট ৮১টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আফজালুর রহমান।

সিএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!