বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও মামলা এড়াতে পারলো না ধর্ষক

পহেলা বৈশাখে কথিত প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার সেই পোশাকশ্রমিক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও মামলা এড়াতে পারেনি ধর্ষক রিপন ও তার দুই বন্ধু। মঙ্গলবার ভোরে নিজ থেকে ধর্ষিতার বড় ভাইকে ফোন করে এ প্রস্তাব দিলেও বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিতার ভাই দিদার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পটিয়ায় পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় তার বড় ভাই দিদার বুধবার সন্ধ্যায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কথিত প্রেমিক রিপন ছাড়াও তার দুই বন্ধু নুর মোহাম্মদ ও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।’

আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি প্রণব চৌধুরী।

১৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈশাখী অনুষ্ঠানে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই গার্মেন্টস কর্মী। উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে রোববার বিকেলে অজ্ঞান অবস্থায় পটিয়া হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রিপন (২৬) একজন গাড়িচালকের সহকারী।

জানা গেছে, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ওই তরুণী (১৮) পটিয়া বিসিক শিল্পনগরীর একটি টেক্সটাইল কোম্পানিতে চাকরি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানে মালামাল সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালকের সহকারী হিসেবে রিপনের যাওয়া-আসা ছিল। সেখানেই পরিচয় তাদের। পহেলা বৈশাখের এক অনুষ্ঠানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে রোববার সকালে রিপন একটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বিকেল পৌনে ৫টায় কয়েকজন তরুণ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তরুণীকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়মা আকতার জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!