বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ৮ বছর পর ধর্ষকের যাবজ্জীবন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর এক তরুণীর সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করে আসছিলেন তিনি। একসময় মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, জন্ম দেন একটি কন্যাসন্তানের। কিন্তু তখনও বিয়ে করতে অনীহা দেখিয়ে আসছিলেন লোকটি। অনন্যোপায় তরুণীটি ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) আট বছর আগের এই মামলার রায়ে সেই লোকটি বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব চরণদ্বীপ এলাকার শহিদ উল্লাহর ছেলে আহমদ উল্লাহ মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্য শুনে রায় দেন আদালত। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মশিউর রহমান এ মামলার রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও মামুনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, ওই তরুণীর কন্যাসন্তানের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে।

২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয়। যাবজ্জীবন পাওয়া আহমদ উল্লাহ মামুন মামলার পর থেকেই পলাতক। তার অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন জেসমিন আক্তার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!