বিষে মেয়ের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের আনার পথে মাও শেষ, খাওয়াতে চেয়েছিলেন ছেলেকেও

৬ বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে বিষ খাওয়ানোর পর মা নিজেও করেন বিষপান। কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই ৬ বছরের শিশুটি মারা যায়। অন্যদিকে মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মারা গেলেন মা নিজেও। ১০ বছর বয়সী ছেলেকেও মা বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সে খায়নি।

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বিষপানের ঘটনায় সাজেদা আক্তার (২৭) ও জান্নাতুল মাওয়া (৬) দুজনই মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সাজেদা আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

সাজেদা আক্তার উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী। জান্নাতুল মাওয়া তাদের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে কুদ্দুসের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কোম্পানীগঞ্জের সাজেদা আক্তারের। নূর হোসেন জিহাদ (১০) ও জান্নাতুল মাওয়ার (৬) বাবা কুদ্দুস গত ১০ দিন আগে ওমান থেকে দেশে আসেন। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে জিহাদকে মারধর করে তার বাবা কুদ্দুস। এ নিয়ে সাজেদার সঙ্গে তর্ক হয় কুদ্দুসের। এ ঘটনার জের ধরে রাতে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়।

গোলাম কুদ্দুসের ভাই গোলাম সারোয়ার বলেন, রাতে ঝগড়া-বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার বিকালে পরিবারের লোকজনের অজান্তে নিজে ও মেয়ে মাওয়াকে বিষ খাওয়ায় সাজেদা। পরে ঘরে থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যান সাজেদা আক্তার।

তিনি আরও জানান, তিনি মাওয়াকে বিষ খাওয়ানোর সময় ছেলে জিহাদকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু জিহাদ খায়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!