বিষণ্ণতার মুক্তি বিয়েতে!

Just married couple, holding hands and walking in nature

জীবনের অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে পড়াশুনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে। নিজের জন্য ভাবার সময় নেই এতোটুকু। ভাবার জন্য যখনই ফুরসৎ মিলল তখনই যেন একটা বিষণ্ণতা ভর করে বসেছে আপনার কাঁধে। দিনে দিনে উদাসীন হয়ে যাচ্ছেন, কাজের প্রতি হারাচ্ছেন আগ্রহ। এই সময়ে আপনার বিষণ্নতা এবং মানসিক উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্তি মিলতে পারে শুধুমাত্র বিয়েতে। ঠিক এমনটিই বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওটেগোর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট প্রফেসর কেট স্কটের নেতৃত্বে একটি গবেষণায়। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেল্থ (ডব্লিউএমএইচ) এর মাধ্যমে সমীক্ষাটি গত একদশক ধরে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের ওপর করা হয়।

গবেষণায় বিয়েকে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেখেছেন গবেষকরা। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বিয়ে করা খুবই উপকারী। এতে করে বিষণ্ণতা, উদ্বিগ্নতা, বিরক্তি, নিজের উপর জুলুম ও ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তারা মনে করেন, বিয়ের মাধ্যমে দুজন নারী-পুরুষ তার আগের বিরূপ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসে। মানসিকভাবে বিয়ের পর অনেক বেশিকর্ম উদ্দীপনা লাভ করে। ১৫টি দেশের ৩৪ হাজার ৪৯৩ জন পুরুষ ও নারীর ওপর করা ওই সমীক্ষার ভিত্তিতে গবেষকরা এসব কথা বলেন।

গবেষণা দলের প্রধান স্কট বলেন, ‘যারা কখনো বিয়ে করেনি, আর যারা করেছে উভয় নারী-পুরুষের মধ্যে তুলনা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ও নানা ব্যাধির দিক থেকে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই বিয়ে খুবই জরুরি’।

অপরদিকে বিবাহ বিচ্ছেদ, তালাক কিংবা মৃত্যুজনিত কারণে বিধবা-বিপত্নীক হওয়ার ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনে মারাত্মক ধরনের মানসিক বিপর্যয় নেমে আসে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বাড়ে মানসিক নিপীড়ন আর পুরুষের ক্ষেত্রে বাড়ে বিষণ্ণতা। যাতে মানসিক অসুস্থতার কারণে দ্রুত শারীরিক অসুস্থতাও বেড়ে যায়। হৃদরোগ থেকে শুরু করেন নানান রোগ ব্যাধির প্রকাশ ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই আপনার কাঁধে যমের মতো চেপে থাকা বিষণ্ণতাকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে বিয়েকে বেছে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!