চট্টগ্রামের বিশ্বকাপ জয়ী যুবদলের সদস্য শাহাদাত হোসেন দিপু মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই অফ স্পিন বল করেন দিপু। দলের প্রয়োজনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও বেশ কয়েকবার বল নিয়ে হাত ঘুরিয়েছেন। তবে বিশ্বকাপের আসরে বল হাতে তার হাত ঘুরানোর সুযোগ পড়েনি। প্রথমবারের মতো বিসিবি একাদশে জায়গা পাওয়ার থেকে চট্টগ্রামবাসী মূলত তাকিয়ে ছিল ব্যাট হাতে তার ও ইমনের সাফল্যের। কিন্তু দু’দিনের অনুশীলন ম্যাচের প্রথম দিনে বল হাতেই স্পিন কারিশমা দেখালেন দিপু।
প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার কাজটা বেশ ভালোই শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় আগে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্তটাও কাজে আসছিল যথাযথ। এরই মাঝে হুট করে জিম্বাবুয়ে শিবিরে হানা দিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন দীপু।
শাহাদাতের স্পিনঘূর্ণিতে নীল হয়ে দারুণ শুরুর পরও বিপাকে পড়ে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে ১৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে। সাত নম্বরে বোলিং করতে এসে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহাদাত দিপু।
অনানুষ্ঠানিক এ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশের হয়ে শাহাদাত হোসেন ছাড়াও যুবদলের খেলছেন আরও পাঁচ ক্রিকেটার। তারা হলেন- অধিনায়ক আকবর আলি, ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, পেসার শরিফুল ইসলাম এবং ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার কেভিন কাসুজা এবং প্রিন্স মাসভাউরে মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখায়। দুজনের জুটিতে আসে ১০৫ রান।
ইনিংসের ৩১তম ওভারে বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আল আমিনের বোলিংয়ে উইকেটের পেছনে থাকা আকবর আলির হাতে ক্যাচ দেন মাসভাউরে। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ বলে ৪৫ রান।
সঙ্গী বিদায় নিলেও প্রায় দুই সেশন ব্যাট করেছেন কাসুজা। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হওয়ার আগে ১৩০ বলে ৭০ রান করেছেন তিনি। তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান মুদজিঙ্গানিমা ১৭ রান করে আউট হন শরিফুল ইসলামের বলে। তিনিও ক্যাচ দেন আকবরের হাতে
এরপর জিম্বাবুয়ের ইনিংসে হানা দেন শাহাদাত। একে একে আউট করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন, রেগিস চাকাভা এবং টিনোটেন্ডা মুতোমবদজিকে। এদের মধ্যে চাকাভা এবং মুতোমবদজি আউট হন তিন বলের ব্যবধানে, দুজনই কাঁটা পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরেক সদস্য বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও দারুণ বোলিং করেছেন। পনের ওভারে ৪ মেইডেনের সহায়তায় মাত্র ৪৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।