বিশ্বকাপ বাছাই/ লাওসকে গোল বঞ্চিত করে চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় কালেভদ্রে। কোনমতে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও পরের ম্যাচটির জন্য ফিফা কিংবা এএফসি পানে তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে থাকতে হতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ দল নিশ্চিত করলো নিকট ভবিষ্যতে তারা কমপক্ষে আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। যার চারটি নিজেদের মাঠে ও অন্য চারটি অ্যাওয়ে মাঠে। মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রাক-পর্বে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লাওসকে গোল বঞ্চিত করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেল জামাল ভুঁইয়ার বাংলাদেশ দল। এবার বাছাইয়ের প্রথম পর্ব টপকে যাওয়া ছয় দেশ ও র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ৩৪ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে খেলা হবে আট গ্রুপে।

রবিউল হাসানের একমাত্র গোলে লাওসের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। সেই গোলটাই হয়ে উঠল ম্যাচের নির্ধারক। নিজ মাঠে ফিরতি লেগে মঙ্গলবার লাওসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেও রবিউলের ওই গোলের কল্যাণেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে উঠে গেছে লাল-সবুজরা। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ জয় ব্যবধানে।

বাছাই পর্বের টিকিট কাটায় আপাতত আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। এই পর্বে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে মোট ৮টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে জেমি ডের শিষ্যদের সামনে। তিন বছর আগে এরকমই এক প্রাক-বাছাইয়ে ভুটানের কাছে হেরে প্রায় দুই বছরের আন্তর্জাতিক নির্বাসনে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ বাছাই/ লাওসকে গোল বঞ্চিত করে চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ 1
লাওসের গোলমুখে বারবার আক্রমণ করেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ

লাওসের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজ মাঠ, দর্শকদের সামনে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়েই শুরুটা করেছিলেন বাংলাদেশের উজ্জীবিত ফুটবলাররা। লাওসের রক্ষণ ভেঙে একাধিকবার সুযোগও মিলেছিল। তবে নাবিব নেওয়াজ জীবন, বিপলু আহমেদরা সুযোগগুলো প্রথমার্ধে কাজে লাগাতে পারেননি।

প্রথম লেগে জয়সূচক গোল করা রবিউল হাসান দারুণ খেললেও লাল-সবুজরা পায়নি কাঙ্ক্ষিত আরেকটি গোল। দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রটা থাকল প্রায় একইরকম। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠল দুই দলই। লাওসের ফুটবলাররা প্রায় হালই ছেড়ে দিলেন এ সময়! আর স্বাগতিক খেলোয়াড়রা গেলেন না খুব একটা আক্রমণে।

এর মাঝেও দারুণ এক সুযোগ হাতছানি দিয়ে যায় লাল-সবুজ শিবিরে। ৭৮ মিনিটে নিজ অর্ধ থেকে বল পেয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষ ডি-বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন প্রথম লেগের গোলদাতা রবিউল। করেছিলেন ক্রসও। কিন্তু লাওস গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে এগিয়ে এলেন না কোনো বাংলাদেশি ফুটবলার!

তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি। নিজেদের জাল অক্ষত থাকায় শেষপর্যন্ত ড্রও বাছাইপর্বে তুলে দিয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!