সাউদাম্পটনে এর আগেও ক্রিকেট ভেন্যু ছিল। সাউদাম্পটনের ওল্ড নর্থল্যান্ডস রোডের কাউন্টি গ্রাউন্ড। ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ম্যাচও আয়োজন করেছিল তারা। তবে ১৯৯৯ সালের পর থেকে কাউন্টি গ্রাউন্ডের পরিবর্তে সাউদাম্পটনে নতুন স্টেডিয়াম স্থাপন করা হয়। যার উদ্বোধনই হয়েছে ২০০১ সালে।
রোজ বোল কিংবা অনেকেই হ্যাম্পশায়ার বোল নামেও ডেকে থাকেন। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট দলের হোম ভেন্যু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে রোজ বোল। মূলতঃ কাউন্টি গ্রাউন্ডের জায়গাতেই প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন রোজ বোল। ১৮৮৫ সাল থেকেই কাউন্ট গ্রাউন্ড হোম ভেন্যু ছিল হ্যাম্পশায়ারের।
২০০১ সালে ওরস্টারশায়ারের বিপক্ষেই প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে নতুন করে পথচলা শুরু রোজ বোলে স্টেডিয়ামের। যে ম্যাচে ১২৪ রানে জয়লাভ করে হ্যাম্পশায়ার। ওই সময় থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করে আসছে রোজ বোল। ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বেশ কয়েকটি ম্যাচও আয়োজন করে এই মাঠটি। এমনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও আয়োজন করেছে রোজ বোল। ২০১১, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে টেস্ট ম্যাচরও আয়োজন করা হয়েছে এই মাঠে।
টেস্ট ম্যাচ নিয়মিত আয়োজনের জন্য ২০০৮ সালে পূনরায় সংস্কার করতে হয় মাঠটিকে। যে কারণে, এই মাঠে টেস্ট শুরু করা হয় ২০১১ সালে। রোজ বোলের মিডিয়া সেন্টারের লাগোয়াই রয়েছে ফোর স্টার হিলটন হোটেল। যার ব্যলকনিতে বসে সরাসরি উপভোগ করা যায় রোজ বোলে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচগুলো।
নতুন মাঠ হিসেবে এবারই প্রথম বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে রোজ বোল। মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। ৫ জুন এই মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামবে ভারত। ১০ জুন প্রোটিয়ারা মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৪ জুন ইংলিশরা খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২২ জুন আফগানিস্তান এই মাঠে খেলতে নামবে ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশেরও একটি ম্যাচ রয়েছে এই মাঠে। ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ব্যাটিং পারফরম্যান্স:-
দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর: ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭৩ রান করেছে।
সর্বনিম্ন স্কোর: ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ৬৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর: ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগান এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ৬১০ রান করেছেন।
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ: ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ১৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সেঞ্চুরি: ১৮টি। ইংল্যান্ডের মরগান ও ইয়ান বেল দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
বোলিং পারফরম্যান্স:-
সর্বোচ্চ উইকেট: ইংল্যান্ডের গ্রায়েম সোয়ান ও জেমস অ্যান্ডারসন ১২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এক ম্যাচে সেরা বোলিং: ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারভান ডিলন ২৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
পাঁচ উইকেট: দু’বার বোলাররা ৫ উইকেট করে নিয়েছেন।
উইকেটকিপিং পারফরম্যান্স:-
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল: ইংল্যান্ডের জস বাটলার এই মাঠে ১৩টি ডিসমিসাল করেছেন।
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ: ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জস বাটলার ৫টি ডিসমিসাল করেছেন।
ফিল্ডিং পারফরম্যান্স:-
সর্বোচ্চ ক্যাচ: ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও ইয়ন মরগান ৫টি করে ক্যাচ নিয়েছেন।
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ: ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি ও ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ইয়ান বেল ৩টি করে ক্যাচ নিয়েছেন।