বিপ টেস্ট গেরো বিশেষ বিবেচনায় পার আশরাফুল-নাসির-রাজ্জাকরা

স্কুল বা কলেজের পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর ভালো জিপিএ পাওয়া ছাত্ররা যেমন বুড়ো আঙ্গুল গোল করে ভিক্টরি চিহ্ন দেখায়- বিপ টেস্ট গেরো পার হওয়ার তেমন বিজয়ের একটা হাসি দেখা গেল মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ শরীফ ও নাসির হোসেনের চোখে-মুখে। সিনিয়র এই ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষা জুড়ে স্পষ্টত একটা স্বস্তির প্রকাশ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) খেলার ছাড়পত্র তাহলে মিলল! বিসিবির বেঁধে দেয়া বিপ টেস্টে (ফিটনেস) অবশেষে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা পাস করলেন।

তবে তাদের এই পাস নিয়ে ছোট্ট একটা ‘কিন্তু’ আছে। শুরুতে বিসিবি ফিটনেস পাসের জন্য বেঞ্চমার্ক স্থির করেছিল ১১ তে। কিন্তু প্রথম দফার ফিটনেস টেস্টে এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউ সেই পাসমার্ক তুলতেই পারেননি। পাস করার জন্য দ্বিতীয় দফা সুযোগ দেয়া হয় তাদের। শুধু তাই নয়, পাসমার্কও কমিয়ে আনা হয় ১০ এ! রোববার, ৬ অক্টোবর সকালে ছিল তাদের সেই দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা দিতে বসার সময়। বিসিবির ইনডোরে এই ফিটনেস টেস্টে এবার সব সিনিয়র ক্রিকেটারই পাস করলেন ‘জিপিএ ১০’ তুলে!

সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফিটনেসে এই মৌসুমে বিসিবি কিছুটা ছাড় দেবে- সেই ইঙ্গিত নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন কিছুদিন আগেই দিয়েছিলেন। গেল মৌসুমে বিপ টেস্টে পাসমার্ক ছিল ৯। এবার দুই ধাপ বাড়িয়ে তা ১১ তে তুলে আনা হয়েছে। কয়েকজন সিনিয়র এই ধাপ উতরাতে পারেননি। এই সিনিয়ররা পরে অনুযোগ করেন-হঠাৎ করে বিপ টেস্টের নম্বর বাড়িয়ে দেয়ায় তারা ফিটনেস পরীক্ষায় বসার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারেননি। বিসিবি এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের সমস্যাটা বুঝতে পারে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার তখনই জানিয়ে ছিলেন- সিনিয়র এবং জাতীয় লিগে লম্বা সময় ধরে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই বিপ টেস্টের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। তাদের জন্য ফিটনেসের পাসমার্কও একটু কমিয়ে আনা হবে।

সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আশরাফুল, নাসির, রাজ্জাক, শরীফ রোববার বিসিবি থেকে ফিরছেন হাসিমুখ নিয়ে। হাতে তাদের ‘জিপিএ-১০’ এর সার্টিফিকেট! তবে সিনিয়রদের এই তালিকায় সবচেয়ে চওড়া হাসিটা ওপেনার ইমরুল কায়েসের। বিপ টেস্টে ১১ স্কোর নিয়েই ফিটনেস টেস্টে জয়ী হয়েছেন তিনি।

জাতীয় ক্রিকেট লিগ আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!